(বাসস) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চলচ্চিত্রে নারী নির্যাতন, দাঙ্গা ও মারপিটের যেসব অশালীন দৃশ্য দেখানো হয় এর চেয়ে বেশি অশালীনতা হলো- চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা, বঙ্গবন্ধুকে খাটো করে উপস্থাপন এবং খলনায়ককে নায়ক হিসাবে দেখানো।
তিনি আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব শতবর্ষ’ উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করছে বলেই বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে ধারন করে দেশ পরিচালিত হচ্ছে বলেই যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন সবাই বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে ধরে আছি বলেই, আমাদের ভাল লাগে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলে আমরা বাংলাদেশকে পাশে চাই। আমাদের ভাল লাগে, যখন পার্শ্ববর্তী ভারত বলে আমরা বাংলাদেশের পাশে থাকতে চাই। পরাশক্তি চীনা যখন বলে, আমরা বাংলাদেশের পাশে থাকতে চাই।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু চলচ্চিত্রে নয়; এদেশের প্রতিটি জায়গা, প্রতিটি ধুলিকণার সাথে মিশে আছেন। এমন কোন ক্ষেত্র নাই, যেখানে বঙ্গবন্ধুর বিচরণ নাই। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে পৈশাচিকভাবে হত্যার মাধ্যমে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট সংস্কৃতিকেও হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু আলাদা কিছু নয়। বঙ্গবন্ধু গণমানুষের নেতা, জনগণের নেতা। বঙ্গবন্ধুর পরিবারে অভিনেতা, সাংস্কৃতিক কর্মি ও খেলোয়াড় রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের মতো বহুমাত্রিক প্রতিভাধর রাজনৈতিক পরিবার পৃথিবীর ইতিহাসে আছে বলে জানা নেই।
তিনি বলেন, সংস্কৃতির বিকাশ সঠিক ধারায় যেতে এক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃতি, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে ধারণ করেন এবং ভালবাসেন। তিনি আশা করেন, এ অঙ্গনের উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াবেন।
বাচসাস সভাপতি ফালগুনী হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য সচিব কামরুন নাহার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও নির্মাতা মৌসুমী, চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস, বাচসাস’র সাবেক সভাপতি রফিকুজ্জামান ও বাচসাস’র সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু।
সেমিনারে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র’ বিষয়ক মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন।