ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২২ নভেম্বর) অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর ছিদ্দিক ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমানের আদালত মাদক মামলার শুনানি শেষে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সকালে র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে। র্যাব জানায়, সকালে তাকে বাড্ডা থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা, অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে বাড্ডা থানায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হবে। তিনি ২০০টি প্লটের মালিক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ৩০টি প্লটের কথা স্বীকার করেছেন। তার বাসা থেকে ৬০০ ভরি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। দুটি বিলাসবহুল অনুমোদনবিহীন গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়ির মূল্য ৩ কোটি টাকা। এছাড়া আরও ৩টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গোল্ডেন মনির কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী থেকে ভূমিদস্যু ও স্বর্ণ চোরাচালানকারী হয়ে ওঠে। তিনি রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ভুয়া কাগজপত্র করে জমির মালিক হন। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য র্যাব থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করা হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোল্ডেন মনিরের বাসায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। যা শনিবার সকাল পর্যন্ত চলে।