শামীম আহমেদ ॥
দীর্ঘদিন ঘড়ে তালা বন্ধি থেকে মুক্ত আকাশে ভাসছে মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি এখন সবখানে যেতে প্রস্তুত। মোহাম্মদ উল্লাহ মুক্ত হয়ে মেনে নিতে পারছেন না তার আপন ভাইদের। আচমকা আহাম্মদ উল্লাহর উপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। অবশেষে আহাম্মদ উল্লাহ নিজেই মোহাম্মদ উল্লাহকে নিয়ে পারি জামান পাবনার পথে।
দিনের পর দিন অর্ধাহারে, অনাহারে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার উপক্রম মোহাম্মদ উল্লাহর। দুই বছর অন্ধকার সেলে শেকল বন্ধি মোহাম্মদ উল্লাহ। আহার, ঘুম, টয়লেট, গোসল সবই একস্থানে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি কোন সংস্থা ।
অবশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ ২২ নভেম্বর দুপুর ২ টার দিকে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের এম্বুলেন্সে করে পবনায় পাঠালেন। তিনি জানান পাবনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে মোহাম্মদ উল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তির সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি মোহাম্মদ উল্লাহ সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।
বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অহিদুল আলম তালুকদার পুত্র মোহাম্মদ উল্লাহ। উচ্চ শিক্ষিত, বিদেশ ভ্রমন করেছেন কয়েকবার। এখন তিনি পাগল। মোহাম্মদ উল্লাহর মুক্তিতে হিজলা উপজেলা সহ গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কাউরিয়া বাজারে এখন আলোচনা আর আলোচনা- অনেকদিন পরে হলেও নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে মোহাম্মদ উল্লাহ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ এর সফলতা এবং সাহসিকতাকে স্বাগত জানান এলাকাবাসি। তাঁদের দাবি প্রশাসন নিজ উদ্দ্যোগে সমাজ পরিবর্তনে এমন কিছু দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা উচিৎ।