সরকার ঢাকা থেকে বরিশাল ও পটুয়াখালী হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত একটি রেলপথ স্থাপন করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সরকার কম খরচে মানুষ ও পণ্য পরিবহনের জন্য সারাদেশে রেল নেটওয়ার্ক স্থাপনে কাজ করছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ও ঘুনধুম পর্যন্ত একটি রেললাইন হবে। রেলপথকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’ খবর ইউএনবির
রাজধানী ও পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার মধ্যে রেল যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে রোববার যমুনা নদীর ওপর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল-লাইন ডুয়েল-গেজ বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার ঢাকা থেকে বরিশাল ও পটুয়াখালী হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত একটি রেলপথ স্থাপন করবে। আমরা একটি সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করব, সে বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকার নতুন ইঞ্জিন ও বগি সংগ্রহসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে রেলপথ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।
তিনি বলেন, এখন রেলপথ জনগণকে পরিষেবা দিচ্ছে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ চলাকালীন পণ্য পরিবহন করার ক্ষেত্রে অবদান রাখছে, রেল জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছে।
রেলওয়ে খাত নিয়ে বিএনপি সরকারের আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আবারও এই খাতকে পুনরুজ্জীবিত করেছে।
তিনি বলেন, রেলওয়ে এখন জনগণের কাছে সর্বোচ্চ আস্থার জায়গা, যা আমাদের অর্থনীতিতে অনেক বেশি অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে সরকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে অনেক অবদান রাখতে পারে, তাই এটি বৈচিত্র্যকরণের পাশাপাশি পুরো দেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নত ও আধুনিকায়ন করছে। এই বিষয়ে আমরা সুদৃষ্টি দিয়ে কাজ করছি।
পানি, রেল ও বিমানপথের সার্বিক উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এর মাধমে সরকারের অর্থনীতি আরও সুদৃঢ় ও শক্তিশালী হবে।
অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, রেলপথ সচিব মো. সেলিম রেজা প্রমুখ বক্তব্য দেন।