বিজয়ের মাসের প্রথম সপ্তাহে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হলো পদ্মা সেতুর ৪০তম স্প্যান। এ স্প্যানটি বসানোর ফলে সেতুর ৬ কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো। ৬ দশমিক ১৬ কিলোমিটারের পুরো সেতুর আর ১৫০ মিটার বাকি থাকলো দৃশ্যমান হতে।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ২ ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে ৪০তম স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।
এদিকে, ৪০তম স্প্যান বসার ফলে পদ্মা সেতুর আর মাত্র ১টি স্প্যান বসতে বাকি থাকলো। সর্বশেষ ৪১তম স্প্যানটি আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হবে। এটি বসানো হলে ৬ দশমিক ১৬ কিলোমিটারের পুরো সেতু দৃশ্যমান হয়ে যাবে।
বিজয়ের মাসের প্রথম সপ্তাহে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হলো পদ্মা সেতুর ৪০তম স্প্যান
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৪০তম স্প্যানটিকে ক্রেনে তুলে নির্ধারিত পিলারের কাছে নিয়ে এসেছিলো পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মূল সেতুর কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ অব লিমিটেড।
এছাড়া, মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে দ্বিতল এই পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ চার মাস পর গত মাসের ১১ অক্টোবর ৩২তম, ১৯ অক্টোবর ৩৩তম, ২৫ অক্টোবর ৩৪তম, ৩১ অক্টোবর ৩৫তম স্প্যান এবং ৬ নভেম্বর ৩৬তম, ১২ নভেম্বর ৩৭তম, ২১ নভেম্বর ৩৮তম স্প্যান, ২৭ নভেম্বর ৩৯তম বসানো হয়েছে।