সামুদ্রিক মৎস্য আইন নিয়ে কোনোভাবেই ভীত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার কখনো গণবিরোধী আইন করে না।
আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সাথে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা জানান। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা গেছে।
এ সময় তিনি আরো জানান, “শেখ হাসিনা সরকার কখনো গণবিরোধী আইন করেনা। কোন যৌক্তিক দাবী থাকলে সরকার সর্বোচ্চ সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করে। কোন প্রক্রিয়ায় ভুল বোঝাবোঝি বা সুবিধা-অসুবিধা থাকলে তা সমাধান করা হবে। কিন্তু কোন সমাধানের প্রক্রিয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ভূমিকায় যাতে নষ্ট না হয়ে যায়। সরকার মানুষের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করতে চায়, উদ্ভূত সমস্যা সমাধান করতে চায়। তবে দেশের স্বার্থে, দেশের সম্পদ রক্ষার স্বার্থে অনেকসময় কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কোনভাবে আমাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া বা আমাদের এগিয়ে যাবার পথ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেটা আমরা দেখবো। মৎস্য খাতের উন্নয়নে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।”
মন্ত্রী আরো বলেন, “বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ। কৃষির একটি বড় অংশ মৎস্য খাত। এ খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। মৎস্য গবেষণাসহ ব্লু ইকোনমি কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এমনকি গভীর সমুদ্রে টুনা মাছ সংগ্রহের জন্য সরকার প্রকল্প নিয়েছে। মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়। আমরা অনেক বড় বড় দেশকে অতিক্রম করে মৎস্য উৎপাদনে ভালো অবস্থানে পৌঁছেছি।”
কোনভাবেই সামুদ্রিক মৎস্য খাত যেনো প্রতিকূল অবস্থা না পড়ে সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসময় নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, “কেউ বেআইনী কাজ করলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তবে আইনের যাতে কোন অপব্যবহার না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে। আইনের বিধি-বিধান দিয়ে কাউকে যেনো জিম্মি করা না হয়, কোন অনিয়ম যাতে না হয় এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।”
সম্প্রতি নতুন প্রণীত সামুদ্রিক মৎস্য আইন নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কেউ সম্পৃক্ত নন বলে অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ সভায় জানান। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ের জন্য এ সময় তারা দুঃখ প্রকাশ করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ, যুগ্ম সচিব মোঃ হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নূরুল কাইয়ুম খান, ১ম ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাইস অ্যাডমিরাল (অবঃ) জহির উদ্দিন আহমেদ, মহাসচিব মসিউর রহমান চৌধুরীসহ অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।