আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করছে বলেই বারবার শেখ হাসিনাকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিচ্ছে। বিএনপির সব কর্মসূচি রাষ্ট্র ও জনগণের বিপক্ষে।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
সারাদেশে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, আগামীকাল (শনিবার) ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। অতীতের ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনকে সরকার এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে। এটা সরকারের দায়িত্ব।
ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ পদ্ধতিতে ভোটার টার্ন আউট শতকরা ৬০ ভাগের বেশি, যা অত্যন্ত ইতিবাচক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে কেন্দ্রসহ অন্যান্য পর্যায়ে বিভিন্ন কমিটি, উপকমিটি গঠন করেছে, অনুমোদনও দিয়েছে। এসব ঘোষিত কমিটির বিষয়ে কেউ কেউ সংক্ষুব্ধ হলে কিংবা কারো অভিযোগ থাকলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপিলের সুযোগ থাকবে। আবার কারো কমিটির বিষয়ে যে কোনো অভিযোগ ধানমন্ডি ৩/এ’তে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলকে আরো পরিচ্ছন্ন, আধুনিক গণতান্ত্রিক এবং স্মার্টার দলে রূপান্তর করতে চাই। আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার ভিতকে আরো মজবুত করতে আওয়ামী লীগ সচেষ্ট। দেশের রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে আওয়ামী লীগেই আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ সবচেয়ে বেশি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে যারা ভোট ডাকাতি শুরু করেছিল, রাতের বেলায় কারফিউ গণতন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্র শিখিয়েছিল, তাদের জনগণ এখনো ক্ষমা করেনি। আর ক্ষমা করেনি বলেই বিএনপি ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বিএনপি জণগণ দ্বারা আন্দোলন ও নির্বাচনে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে জীবন্ত মানুষ আর সম্পদ পুড়িয়ে, মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, জনগণ তাদের ক্ষমা করেনি বলেই এখনো অতীতের অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করছে।