স্টাফ রিপোর্টার:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ওবায়দুল কাদের আমাদের রক্তচক্ষু দেখাচ্ছেন। আমাদের কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছেন না। আমি কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় করি না।
সোমবার সন্ধ্যার পর বসুরহাট রূপালী চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, চরপার্বতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম তানভীর, বসুরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সেক্রেটারি ফয়সাল প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীতে টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য, প্রশাসনের ওপর প্রভাব খাটিয়ে লুটপাট চলছে। কেউ কি দেখার নেই? ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি কি হতে চান? আপনি আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি, আপনার এলাকার ত্যাগী কর্মীরা আজকে ঘরে শুতে পারেন না, গুলি খেতে হয়। তারা হাসপাতালের বেড়ে শুয়ে কাতরাচ্ছে। আপনি সেখানে বসে কী করছেন? চুপ করে সেখানে বসে থেকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কী করবেন আপনি- আমাকে জেলে দেবেন? সেটার অভ্যাস আমার আছে। বরং আপনার থেকে বেশি জেল খেটেছি আমি। মেরে ফেলবেন? আপনার সঙ্গে কবরের জায়গাও দেখিয়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন, আপনি আমাদের নেতা- আমার রাজনৈতিক আদর্শ। আপনাকে শ্রদ্ধা করি কিন্তু আগামী শনিবারের পর থেকে আর এ শ্রদ্ধাও থাকবে না। স্পষ্টভাষায় বলব- কী দেখাতে চান, কী বুঝাতে চান। একটি দুশ্চরিত্রের মাদক সম্রাটকে আপনি আশ্রয় দিচ্ছেন, প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এদের পতন হওয়া পর্যন্ত আমার আন্দোলন চলবে।
কাদের মির্জা বলেন, আমার বাবা স্কুলের শিক্ষক ছিলেন, কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর সহচর ছিলেন। আমার নানা ১৯৬৩ সালে মারা গেছেন। আর এই ছেলে (একরাম) বলে তিনি নাকি ৭১ সালে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। কত বড় মিথ্যাচার। এতবড় ঔদ্ধত্য।
তিনি বলেন, আমার মামা এমদাদুল হক আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ছিলেন। বাড়ির টেলিভিশন বিক্রি করে দলের জন্য খরচ করেছেন। আমার পরিবারের আর কি কেউ রাজনীতি করত? ওবায়দুল কাদের সাহেব তাকে (একরাম) ক্ষমা করতে পারেন। বারবার ওনার ক্ষমার কারণে আজকে এত বড় ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন একরাম। তিনি মাতাল অবস্থায় ওবায়দুল কাদেরের গালে গালে জুতা মার তালে তালে স্লোগান দিয়েছেন, আমাকেও গালি দিয়েছেন।