মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের কারাদণ্ডের সাজায় সন্তুষ্ট নয় কুয়েতের সরকারি আইনজীবীরা। তারা পাপুলসহ অন্য দণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা বাড়ানোর জন্য দেশটির বিচার বিভাগের প্রতি আবেদন করেছেন।
কুয়েতের দৈনিক আল কাবাসের বরাত দিয়ে আরব টাইমসের এক খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আরেকটি মামলা নিয়ে পাবলিক প্রসিকিউশন কার্যালয় তদন্ত করছে। নতুন মামলাটি আগের মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে পারে।
গত ২৮ জানুয়ারি মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে পাপুলকে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের একটি আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার বা ৫৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া তাকে বিভিন্ন সময় অর্থের বিনিময়ে সহায়তা করায় কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মাজেন আল জারাহ ও আরো দুই কুয়েতি কর্মকর্তাকেও চার বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাবলিক প্রসিকিউটররা বলছেন, এই সাজা অপরাধীদের জন্য যথেষ্ট নয়। তাদের আরো কঠোর সাজা হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুলকে মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কুয়েতের সিআইডি সদস্যরা। বসবাসের অনুমতির অবৈধ লেনদেনের ব্যাপারে কুয়েতের সরকার অভিযান শুরুর পর এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে।