বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) এএসপি পরিচয় দিয়ে মেডিকেল ইনচার্জ পুলিশের সহযোগীতায় চিকিৎসা সুবিধা পেতে ফেঁসে গেলো মাছ ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মনির। শুক্রবার শেবাচিমের ইনচার্জ এসআই নাজমুল এএসপি পরিচয়দানকারী মনিরের আচরন সন্দেহজনক হওয়ায় নজরদারীতে রাখে।
পরে ভূয়া প্রমানিত হওয়ায় তাকে কোতোয়ালী মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।
এসআই নাজমুল জানান, শুক্রবার বিকেলে মনির শেবাচিম হাসপাতালে তার এক আত্মীয়কে ভর্তি করান। এ সময় দায়িত্ব পালনকরাকালীন সময়ে ইনচার্জ গার্ডে কনস্টেবল তৌহিদুলের ইসলামের কাছে দেখা হলে মনির নিজেকে কিশোরগঞ্জের এএসপি পরিচয় দেয় এবং তার আত্মীয়ের চিকিৎসা সেবায় সহযোগীতা করার আদেশ করে।
কনস্টবল তৌহিদ সন্মানের কথা ভেবে মনিরের রোগীর কাছে গিয়ে সার্বক্ষনিক খোঁজখবর নেয়। এই ভেবে তৌহিদ তাকে বুঝতে না দিয়ে এসআই নাজমুলকে অবহিত করে। এসআই নাজমুলও তার রোগীর খোঁজখবর নেয়া শুরু করে। কথায় কথায় মনির বাকেরগঞ্জে বদলীর কথা বললে তাদের বিষয়টি সন্দেহ হয়।
যে একজন এএসপি কিভাবে বাকেরগঞ্জে আসতে পারে। সন্দেহ তীব্র হলে বিষয়টি মনিরকে বুঝতে না দিয়ে তাকে নজরদারি শুরু করে। একপর্যায়ে মনির কনস্টেবল তৌহিদকে নাস্তা খাওয়ার কথা বলে মেডিকেল ক্যান্টিনে না খেয়ে বাইরে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়।
এদিকে কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর নিয়ে মনির নামে কোন এএসপি না থাকায় তাদের সন্দেহ সত্যি হয়। পরে সেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে এসআই নাজমুল ও সিটিএসবি এসআই সগির হোসেন কিশোরগঞ্জের এসপি’র সরকারি নম্বর চাইলে মনির দিতে ব্যর্থ হয়।
বিষয়টি উপ-পুলিশ কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা জানানো হলে তিনি তাৎক্ষনিক মনিরকে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাবার নির্দেশ দেন। পরে থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মনির মাছ ব্যবসায়ী বলে স্বীকার করে।
এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা দায়ের করা হবে জানা গেছে।