বিজয় স্মরণী মোড়ে বিশাল ছবি। যেখানে লেখা ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’।
শহরের বড় বড় ভবনে আলোকসজ্জার মধ্যেও ফুটে উঠেছেন বঙ্গবন্ধু। বর্ণিল এমন সব সজ্জার সবটুকুই ১৭ মার্চকে ঘিরে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন উপলক্ষে। এ সজ্জা চলবে আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তীর দিন পর্যন্ত।
গত সোমবার (১৫ মার্চ) ও মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, নগরীর সরকারি-বেসরকারি দপ্তর থেকে শুরু করে অভিজাত হোটেলগুলো সেজেছে বর্ণিল আলোকসজ্জায়। সড়কের দু’পাশ ও মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে বাহারি রংয়ের আলোর ঝলকানি।
রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর প্রধান সড়ক, স্থাপনাগুলোর বর্ণিল আলোকসজ্জায় চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। বাদ যায়নি সড়কের মোড়, ল্যামপোস্টও।
সড়কদ্বীপগুলোতে আলোকসজ্জার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের জাতীয় পতাকাও শোভা পাচ্ছে। এর কারণ আগামী ১৭ মার্চের আয়োজনে অতিথি হয়ে আসছেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ।
এতসব প্রস্তুতির মধ্যেই ‘মুজিব চিরন্তন’- প্রতিপাদ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।
আগামী ১৭ থেকে ২৬ মার্চ ১০ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজন করা হবে।
১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার থিমগুলো হলো- ১৭ মার্চ ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছো জ্যোতির্ময়’, ১৮ মার্চ ‘মহাকালের তর্জনী’, ১৯ মার্চ ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’, ২০ মার্চ ‘তারুণ্যের আলোকশিখা’, ২১ মার্চ ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’, ২২ মার্চ ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’, ২৩ মার্চ ‘নারীমুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’, ২৪ মার্চ ‘শান্তি-মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’ এবং ২৬ মার্চ ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।
১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ১৭ মার্চ, ২২ মার্চ ও ২৬ মার্চ তারিখের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ ও ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। এ পাঁচদিনের অনুষ্ঠানে বিদেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
আগামী ১৭ মার্চ মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ, ১৯ মার্চ শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, ২২ মার্চ নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি, ২৪ মার্চ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ও ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়াও আগামী ১৭ মার্চ চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ১৮ মার্চ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, ২০ মার্চ ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল ড. ইউসেফ আহমেদ আল-ওথাইমিন, ২২ মার্চ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, ২৩ মার্চ ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকাভা, ২৪ মার্চ পোপ ফ্রান্সিস এবং ২৫ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং স্যু-কুয়েন ও মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধু তাকাশি হাওয়াকাওয়ার ছেলে ওসামু হাওয়াকাওয়া ভিডিও বার্তা দেবেন।
আগামী ১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ ও ২৬ মার্চ তারিখের অনুষ্ঠান বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হবে এবং রাত ৮টায় শেষ হবে। অন্যান্য দিনের অনুষ্ঠান বিকেল সোয়া ৫টায় শুরু হবে এবং রাত ৮টায় শেষ হবে। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৩০ মিনিটের বিরতি থাকবে।
প্রতিটি অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি সব টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হবে।