দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রায় দুই বছর কারাভোগের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। পরে আরেক দফায় তা আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) খালেদার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ২৫ মাস কারাভোগের পর গত বছরের ২৫ মার্চ মুক্তির পর থেকে রাজধানীর গুলশানে ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ বসবাস করছেন খালেদা জিয়া। সেখানে খালেদার সার্বক্ষণিক সঙ্গী গৃহকর্মী ফাতেমা ও একজন নার্স। প্রায়ই বিকেলে সেখানে যান বোন সেলিমা ইসলাম। নিয়ম করে চেকআপ করতে যান চিকিৎসকরাও। প্রয়োজনের তাগিদে আইনজীবীরাও মাঝে মধ্যে যান খালেদার বাড়িতে।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম জানিয়েছেন, মুক্তির পর এই এক বছরে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) তো শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। হাত এখনও বাঁকা হয়ে আছে, পা ফুলে আছে। পায়ে ব্যথায় হাঁটতে পারছে না, চলতে পারছে না। খেতে পারে না’।
সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘উনারা তো (সরকার) সবই জানেন, জেনে-শুনে কিছু না করলে কি করার আছে আমাদের। আমাদের তো করার কিছু নেই এখানে। এখন এক আল্লাহ ছাড়া কেউ কিছু করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তি পাওয়ার পর লাভ শুধু এটুকুই হয়েছে, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বাসায় থাকতে পারছেন। আমরা তো সরকারকে বলেছি, চিকিৎসার জন্য এখন উনারা সুযোগ না দিলে আমরা কি আর করব। এসব বিষয় তো বলে আর কোনো সমাধান হবে না। কাজেই আমরাও আর বলতে চাই না। নানা রকম ইয়ে.. আসবে আমাদের ওপরে। আমাদের তো হাত-পা বাঁধা। আমরা তো কিছুই করতে পারছি না।’
তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বেগম জিয়ার অসুস্থতার কাগজ আমরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে দেখিয়েছি। সেটাও গ্রহণ করা হয়নি। সেজন্য আমরা বলি রাজনৈতিকভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে।’