পবিত্র মাহে রমজানের আর মাত্র ৩ দিন বাকি । রমজান মাস শুরুর আগেই প্রায় দ্বিগুন বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম । আগামী ১৪ এপিল থেকে পবিত্র মাহে রমজান মাস শুরু।
নিত্যপ্রয়োজনী জিনিসের দাম বাড়ায় ক্ষুব্দ সাধারন ক্রেতা। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা অজুহাত দিচ্ছে লকডাউনের। অজুহাত পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির। আর এই অজুহাতে দাম বেড়েছে বলেও জানান তারা।
নগরীর পোর্ট রোড, চৌমাথা, নতুন বাজার, বাংলাবাজার, সাগরদী বাজারে এখন আর ৪০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই।
পটোল, বেগুন, শিম, ধুন্দল, বরবটি, ঢেঁড়স, লাউ, টমেটোসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে দ্বিগুন । কোনো কোনোটি দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
যে টমেটো পাওয়া যেত ১৫ টাকা কেজি, সেই টমেটো আজ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি। সৃজনের ডাঁটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। পটোল, বরবটি, বেগুন, ঢেঁড়সের দামও বেড়েছে। পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা। বরবটি ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। তাও এখন আর ভালো শিম পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রতি পিস ফুলকপি-বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দল, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। তবে কোনো কোনো বাজারে ধুন্দলের কেজি ৬০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে শাকের দামও।
কলমিশাকের আঁটিও এখন ১০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বাজারে নতুন আসা পুঁইশাকের আঁটি এখন ৩০-৪০ টাকা। লাউশাক ২৫-৩০ টাকা। অন্য যেকোনো শাকের আঁটিই এখন ১০ টাকার ওপরে।
চৌমাথা বাজারের সবজিবিক্রেতা রুহুল আমিন বলেন, পাইকারি বাজারেই এখন সবজির দাম বেশি। লকডাউনের কারণে গাড়ি ভাড়া বেশি পড়ছে। যে কারণে পণ্যের দামও বেড়েছে। বেড়েছে পেঁয়াজের দামও।
লকডাউনের মধ্যে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের কেজি। ৩০-৩৫ টাকায় যে পেঁয়াজ পাওয়া যেত সেই পেঁয়াজের দাম এখন ৪০-৪৫ টাকা। তবে আলুর দাম আগের মতোই ২০ টাকা কেজি আছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলু একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
লকডাউনের শুরুতে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও এখন তা আবার বেড়েছে। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি আবার আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। আজ চৌমাথা বাজারে প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৫৮০-৬০০ টাকায়।
সাগরদী বাজারে ক্রেতা হাসান তালুকদার বলেন, লকডাউনের কারনে আয়ের উৎস যেমনি ভাবে কমছে, তেমনি বাড়ছে জিনিস পত্রের দাম । সামনে রমজান মাস তাই বাজারে এসেছিলাম পুরো মাসের বাজার করতে কিন্তু দাম বাড়ায় তিন দিনের বাজার নিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনী জিনিসে পত্রের দাম সাধারন মানুষের হাতের নাগালে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে নগরবাসী।