বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ওয়ার্ডে রোগীর চাপ আরও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া নতুন ২০ জন রোগীসহ শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৭২ জন রোগী। যার মধ্যে ৪২ জন ছিলেন করোনা পজেটিভ রোগী।
এর আগের দিন শুক্রবার ৩৪ জন করোনা পজেটিভ রোগীসহ করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধী ছিলেন ১৫৬ জন রোগী। যার মধ্যে করোনা পজেটিভ রোগী ছিলেন ৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১০ জন রোগী। এই সময়ের মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জন রোগীর।
করোনা ওয়ার্ডে ১২ শয্যার আইসিইউ’র সবগুলো শয্যা রোগীতে পরিপূর্ণ। আরও অনেক রোগী আছেন যাদের আইসিইউ সেবা প্রয়োজন। কিন্তু শয্যা খালী না থাকায় সেবা পাচ্ছেন না তারা।
এদিকে, টানা ২দিন ধরে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে করোনা সংক্রমণের হার দুই তৃতীয়াংশ কমলেও শনিবার তৃতীয় দিনে আবার কিছুটা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৭.৬৮ ভাগ।
এর আগে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার রাতের রিপোর্টে) ১৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ২৫ জনের। শনাক্তের হার ছিল ১৫.৬২ ভাগ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার রাতের রিপোর্ট) ১৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল ৩১.২৮ ভাগ।
গত মঙ্গলবার রাতের রিপোর্টে ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল সর্বোচ্চ ৪৭.৩১ ভাগ।
গত বছরের ৮ মে বরিশাল মেডিকেল কলেজে পিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠার পর ৪৭.৩১ ভাগ ছিল সর্বোচ্চ সংক্রমণের হার।
শের-ই বাংলা মেডিকেলের করোনা তথ্য সংরক্ষক জে. খান স্বপন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।