হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ-অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস ওরফে মুফতি ইলিয়াস হামিদী বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এদেশে আগমন ঠেকানোর দায়িত্বে ছিলেন মাওলানা মামুনুল হক। এ জন্য তারা বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করেন।
মঙ্গলবার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি বলেন- মুফতি ইলিয়াস, মামুনুল হক, রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ কয়েকজন ওয়াজ মাহফিলে জ্বালাময়ী বক্তৃতার মাধ্যমে আন্দোলন জোরালো করার দায়িত্ব নেন। সেই অনুসারে তারা কাজ করেন। এছাড়া এ মাসের শুরুতে হাটহাজারী মাদ্রাসায় তারা এক বৈঠকও করেন। সেখানে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার বিষয়ে উপস্থিত কয়েকজন আলোচনা করেন।
৭ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার মুফতি ইলিয়াসকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রমজানুল হক। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ১২ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ থানাধীন মামুনুল হকের মাদ্রাসা থেকে ইলিয়াসকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।