শামীম আহমেদ :
সাবেক সংসদ সদস্য ও বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড, তালুকদার মোঃ ইউনুস বলেন, দলের কেহ যদি মনে করে থাকেন বঙ্গবন্ধুর ছবি গলায় ঝুলিয়ে লুঠপাটের রাজনীতি করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাষন আমলে আর হবে না।
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এই স্বাধীনভূমি দেশটাকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে যাবেন কিন্তুু কতিপয় স্বার্থ পরায়ন ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সে স্বপ্ন পীরন করতে দেয়নি।
তাই প্রধানমন্ত্রী পিতা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সেই স্বপ্নগুলো আজ একে একে দেশবাশীকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দাড় করাবার কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় তিনি আরো বলেন দেশ ও দলের স্বার্থ রক্ষার সাথে নিজেদেরকে দূর্নীতি থেকে মুক্ত থাকার আহবান জানান। অন্যদিকে কেহ যদি আওয়ামীলীগে থেকে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে নাপারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে শ্রমীকলীগের কর্মীদের।
আজ শনিবার (১২ই) অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমীকলীগের ৫০ বছর সুবর্ন জয়ন্তী ও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে র্যালি পূর্বক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
বরিশাল মহানগর শ্রমীকলীগ বরিশাল শহীদ সোহেল চত্বর জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ কার্যলয়ের সামনে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক সমাবেশের আয়োজন করে।
মহানগর শ্রমীকলীগ সাধারন সম্পাদক বাবু পরিমল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে শ্রমীকলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, সুবর্ন জয়ন্তীর সমাবেশ ও র্যালি বেলুর-ফেস্টুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ্ ।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাড, গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, সাধারন সম্পাদক এ্যাড, একে এম জাহাঙ্গীর হোসাইন,মহানগর শ্রমীকলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম হুমাউন কবীর মোতালেব।
মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি ও বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, জেলা শ্রমীকলীগ সভাপতি শাহজাহান হাওলাদার সহ বিভিন্ন শ্রমীকলীগ নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সকাল থেকে নগরের ত্রিশটি ওয়ার্ড থেকে বিভিন্ন প্লেকার্ড, ব্যান্ড পার্টি সহকারে দলীয় কার্যলয়ে জড়ো হয় শ্রমীকলীগ নেতৃবৃন্দ।
পরে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ,মহানগর সভাপতি এ্যাড,গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, জেলা সম্পাদক এ্যাড, তালুকদার মোঃ ইউনুস ও মহানগর সম্পাদক এ্যাড, একে এম জাহাঙ্গীর হোসাইনের নেতেত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সোহেল চত্বর এসে শেষ করে।