দেশের বাইরে থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেদিন বেঁচে গেলেও ২০০৪ সালের এই মাসেই শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চালানো হয় গ্রেনেড হামলা। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশে রচিত হয় আরো এক কালো অধ্যায়ের। প্রাণ হারাণ দলটির ২৪ জন নেতাকর্মী। অল্পের জন্য প্রানে বাচেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
শোকের এই মাসটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করে পুরো দেশ। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো পালন করে মাসব্যপী নানান কর্মসুচি। তবে করোনা সংক্রমণ এড়াতে সীমিত পরিসরে শোকের কর্মসূচি পালনের সিদ্বান্ত নিয়েছে দলটি। ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উদ্যোগে, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোর মিছিলের মধ্য দিয়ে শুরু আগষ্টের শোকের কর্মসূচির।
১৫ই আগষ্টে নিহতদের স্মরণে মাসব্যাপী দোয়ার আয়োজন করেছে আওয়ামী যুবলীগ। এসময় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে। এছাড়া, ৫ই আগষ্ট শহীদ শেখ কামালের জন্মদিনে, ধানমন্ডি আবাহনী ক্লাবে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ৮ই আগষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিনে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানাবে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো। ১১ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা করবে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। আর বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুজতে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবিতে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হবে ১২ ই আগষ্ঠ।
১৫ই আগষ্ট ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয় সহ সংগঠনের সব স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচি পালিত হবে। এছাড়া দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হবে জাতীয় শোক দিবস। শ্রদ্ধা জানানো হবে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার, বনানী কবরস্থান ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে। ১৬ই আগষ্ট অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা। সিরিজ বোমা হামলার দিন ১৭ই আগষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সাংগঠনিক ইউনিটে কালো পতাকা উত্তোলন ও নিরবতা পালন করা হবে। অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভাও।
২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে সারাদেশে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচী পালন করবে আওয়ামী লীগ। এছাড়া, আগষ্ট মাসের শেষ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে আলোচনা সভা ও মোড়ক উন্মোচন করা হবে ‘মাতৃভূমি’ গ্রন্থের।