বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

ইতিহাস গড়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সফরকারী নিউজিল্যান্ডের দেয়া ৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

এর আগে প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর তৃতীয় ম্যাচে কিউইরা জিতেছিল। এনিয়ে টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ঘরে তুললো বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে সফরে জিতে আসার পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে বিধ্বস্ত করেছিল স্বাগতিকরা।

এদিন ম্যাচে জয়ে নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিংয়ের পর, ব্যাটিংয়ে অসাধারণ করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৩ ওভারে ৯৩ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ও ৫ বল বাকি থাকতে ৯৬ করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।

৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে নামা বাংলাদেশের হয়ে এদিনও ব্যর্থ হন ওপেনার লিটন দাশ। দলীয় তৃতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ৬ রানে কোল ম্যাককোঞ্চির বলে বিদায় নেন তিনি। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ২৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ।

কিন্তু মারমুখী খেলতে যাওয়া সাকিব ষষ্ঠ ওভারে আজাজ প্যাটেলের শিকার হন। ব্যক্তিগত ৮ রানে তিনি উইকেটরক্ষক টম ল্যাথামের কাছে স্টাম্পিং হন। একই ওভারের শেষ বলে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমেরও বিদায় হয়। বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফেরেন তিনি।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৫০ বলে ৩৪ রান করেন নাঈম। এই জুটি দলকে জেতানোর লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে রান আউটে কাঁটা পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় নাঈমকে। ১৫তম ওভারে দলীয় ৬৭ রানে দুই রান নিতে গিয়ে আউট হন নাঈম। ৩৫ বলে ১টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৯ রান করেন এই বাঁহাতি।

নাঈম বিদায় নিলেও পঞ্চম উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ২৮ বলে ২৯ করে ম্যাচ জেতান মাহমুদউল্লাহ। এই জুটিতে অবশ্য আফিফের অবদান ছিল মাত্র ৬ রান। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জয় নিশ্চিত করে সাইলেন্ট কিলার খ্যাত মাহমুদউল্লাহ। তিনি শেষ অবধি ৪৮ বলে একটি চার ও ২টি বিশাল ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

কিউই বোলারদের মধ্যে আজাজ দুটি ও ম্যাককোঞ্চি একটি উইকেট লাব করেন।

টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। নাসুম আহমেদের বল তুলে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ক্যাচে পরিণত হন রচিন রবীন্দ্র। দলীয় তৃতীয় ওভারে আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেনকেও সাইফের ক্যাচে ফেরান নাসুম। ব্যাক্তিগত ১২ রানে মাঠ ছাড়েন তিনি।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে উইল ইয়ংকে নিয়ে ৩৫ রান করে বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক টম ল্যাথাম। তবে মেহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে ইনিংস বড় করা হয়নি ল্যাথামের। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান স্টাম্পিং করে বিদায় করেন ২১ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে।

কিউইদের ইনিংসে এরপর ঘূর্ণির জাদু দেখান নাসুম। ১২তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে হেনরি নিকোলস ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান এই বাঁহাতি।

সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে একাই লড়ে যান উইল ইয়ং। তবে মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারের সামনে বাকিরা আর কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। তার শিকারে মাঠ ছাড়েন টম ব্লান্ডেল, কোল ম্যাককোঞ্চি, ব্লাইর থিকনার ও ইয়ং। ম্যাককোঞ্চিকে তো নিজেরই করা বলের ফিরতি শটে দারুণ এক ক্যাচে ফেরান। কিউই ইনিংসে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৬ রান করা ইয়ংও তার বলে মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ দেন। মাঝে আজাজ প্যাটেলকে ফিরিয়ে উইকেটে ভাগ বসান সাইফ।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে নাসুম ও মোস্তাফিজ ৪টি করে উইকেট দখল করেন। একটি করে উইকেট পান মেহেদী ও সাইফ।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech