আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে বাসদ বরিশাল জেলার আহবায়ক ইমরান হাবিব রুমন ও সদস্য সচিব ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী বলেন, আজ সকালে লেবুখালি সেতুর নামকরণ পায়রা সেতুর নামে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি ছিল এই সেতুর নাম শহীদ আলাউদ্দিনের নামে নামকরণ করা।
নেতৃবৃন্দ বলেন,পটুয়াখালির কলাপাড়ার সন্তাান ও বরিশালের এ কে স্কুলের ছাত্র ৬৯’এর গণ অভ্যুত্থানের বরিশালের প্রথম শহীদ আলাউদ্দিন। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ৬৯ এর গন অভ্যুত্থানের মিছিলে গিয়ে পাকিস্তানি ই পি আর এর গুলিতে তার মৃত্যু হয়। শহীদ আলাউদ্দিনের নামে লেবুখালি সেতুর নামকরণ করার দাবি করেছিল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
পটুয়াখালী, কলাপাড়া ও বরিশালে কয়েক বছর ধরে এই দাবিতে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।অথচ আজ সেতুটির উদ্বোধন হল পায়রা সেতু নামে। এর কারণ হিসেবে বলা হল নদীর নামেই নাকি সেতুর নামকরণ হওয়া উচিত, এতে নদীর পরিচিতি বাড়ে।
অথচ বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে পথে আরো ৩টি নদী পড়ে যাদের নাম আন্ধারমানিক, সোনাতলা ও শিববাড়িয়া। এই নদীগুলির উপরের সেতুর নাম যথাক্রমে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল সেতু। কীর্তনখোলা নদীর উপরে সেতুর নামকরণ করা হয়েছে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাতের নামে। এই সেতুগুলির নামকরণের ক্ষেত্রে নদীর পরিচিতির বিষয়টি বিবেচিত হয়নি এটা বলাই বাহুল্য।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এলাকার যেকোন স্থাপনার নাম ঐ এলাকার ঐতিহাসিক ব্যাক্তিত্বদের নামেই হওয়া দরকার যেখান থেকে মানুষ ঐ এলাকার ইতিহাস সম্পর্কে জানবে, নতুন প্রজন্ম তাদেরকে চিনবে এসব স্থাপনার মাধ্যমে। তাহলে কি কোন বিশেষ দলের অনুসারী না হলে কারো আত্মত্যাগের মূল্যায়ন হবেনা?
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পায়রা সেতুর নামে শহীদ আলাউদ্দিনের নাম যুক্ত করে এর নাম “শহীদ আলাউদ্দিন স্মৃতি পায়রা সেতু” ঘোষণা করার দাবি জানান।