সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচনের সময় বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন ও সহিংসতা বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে সিইসি বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকটি স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তার কোনোটিই প্রত্যাশিত ও কাম্য নয়। গণমাধ্যমগুলো এসব ঘটনার ওপর বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, এর পেছনে ছিল নির্বাচনকে সামনে রেখে আধিপত্য বিস্তার, বংশীয় প্রভাব, ব্যক্তিগত শত্রুতা, রাজনৈতিক কোন্দল ইত্যাদি। ফলে এসব সহিংসতা ও প্রাণহানির কারণ অনুসন্ধানের দাবি রাখে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ইতোমধ্যে দুই ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আরও দুই ধাপের নির্বাচনী কার্যক্রম চলছে। এরপর একাধিক ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো নির্বাচন সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সুযোগে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থী, তাদের সমর্থক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ এবং সর্বোপরি সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন সবাই আচরণবিধি মেনে চলেন, সহনশীল আচরণ করেন। এসব ব্যাপারে নির্বাচনী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি নির্বাচন নিয়ে মাহবুব তালুকদারের মন্তব্য শালীনতা বহির্ভূত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
উল্লেখ্য, দেশে চলছে দশম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এরই মধ্যে দুই ধাপের ইউপি নির্বাচন হয়ে গেছে। আরও দুই ধাপের তফসিল ঘোষণা রয়েছে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপ ও আগামী ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।