দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া, বোতসোয়ানা ও সোয়াজিল্যান্ড। এসব দেশ থেকে কেউ এলে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া তাদের কারো করোনা শনাক্ত হলে আইসোলেশনে রাখার পরামর্শও দেয়া হয়েছে। একইসাথে দেশের প্রতিটি সীমান্তে বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করানো, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত, চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করা, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে লোক সমাগম সীমিত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষারও সুপারিশ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে রোববার অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, বন্দরগুলোয় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য বলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও বতসোয়ানা, ইসরায়েল, হংকং, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইতালিতেও নতুন এ ধরনের সন্ধান মিলেছে। ডব্লিউএইচও করোনার নতুন ধরনের নাম দিয়েছে ‘ওমিক্রন’। ধরনটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে সংস্থাটি। ধারণা করা হচ্ছে, করোনার আগের সব ধরনের চেয়ে এটি অনেক বেশি সংক্রামক। তবে ওমিক্রন করোনার অন্য ধরনের তুলনায় কম নাকি বেশি মারাত্মক, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘ডব্লিউএইচও ইতিমধ্যে ওমিক্রন ধরনটিকে “উদ্বেগজনক” বলেছে। আমরাও এ বিষয়ে সতর্ক আছি।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক আরও বলেন, ‘গত ৩০ দিনে দেশে করোনা শনাক্তের নিম্নহার দেখা গেছে। এ হার ২ শতাংশের নিচে থেকেছে। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।’
নাজমুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি সহনীয় আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার হাসপাতালগুলোয় ৫৭ এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোয় ৩০ জন ভর্তি হয়েছেন। এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪২৮।