অনলাইন ডেস্ক:
যুবলীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের বৈঠক থেকে তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেস আয়োজন উপলক্ষে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সংগঠনটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।
মূলত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর থেকে আলোচনায় আসেন ওমর ফারুক চৌধুরী। ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার সম্রাটের কাছ থেকে ক্যাসিনোর ভাগ পেতেন বলেও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তার ক্যাসিনো-সম্পৃক্ততায় নড়েচড়ে বসেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের অনেক নেতা।
এছাড়া ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে হাজারও অভিযোগ জমে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। দলীয় পদ বাণিজ্যের অভিযোগ, স্বেচ্ছাচারিতা, ইচ্ছামাফিক পদ দেয়া-পদ বাতিল করা ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ ছিল তার নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার।
এসব কাণ্ডে ওমর ফারুক চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ বিষয়ে বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোয় সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়। নেয়া হয় বাড়তি সতর্কতা। একপর্যায়ে ব্যাংক হিসাব তলবের পর নিজেকে গুটিয়ে নেন ওমর ফারুক চৌধুরী।
গণমাধ্যমে যুবলীগ নেতাদের সংশ্লিষ্টতায় ঢাকার ৬০টি জায়গায় ক্যাসিনো পরিচালনার খবর প্রকাশ হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। যিনি ইয়াংমেনস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন।
গ্রেফতার করা হয় যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি করা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমকে। পরে গ্রেফতার করা হয় ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে।
এসব ক্যাসিনো ব্যবসায় যুবলীগ নেতাদের মদদ দেয়ার অভিযোগ ওঠে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তলব করা হয় ব্যাংক হিসাব।
এছাড়া ৭১ বছর বয়সী ওমর ফারুক যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি গণমাধ্যমের শিরোনামে ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।