শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ অভিযোগই তথ্যভিত্তিক নয়। দেশটিতে প্রতি বছর ৬ লাখ মানুষ নিখোঁজ হলেও তা নিয়ে তাদের কোন জবাব নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিষেধাজ্ঞা খুবই দুঃখজনক। এগুলো লোক-দেখানো একটা অপচেষ্টা। সকালে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। এ সময় আমাদের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিজেও এমন ঘোষণায় অবাক হয়েছেন।
এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সঠিক নয়। আমাদের কোনো সংস্থা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না। আমাদের এখানে প্রতিটি ঘটনা ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদন্ত করা হয়ে থাকে। কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা চ্যালেঞ্জিং। মাদক কারবারিরা নিজেদের রক্ষা করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। দেশের প্রশিক্ষিত বাহিনী অভিযান চালালে তারা অস্ত্র ব্যবহার করায় গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এর আগে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ রয়েছেন। বেনজীর আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার আওতায়ও পড়েছেন তিনি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথক এক ঘোষণায় বেনজীর আহমেদ এবং র্যাব-৭-এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ২০১৮ সালের মে মাসে কক্সবাজারের টেকনাফে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হককে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে সম্পৃক্ততার জন্য এ দুজনের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে।