অনলাইন ডেস্ক:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ভোটার তালিকায় যুক্তের চেয়েও জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার গুরুত্ব বেশি। কেননা জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া এখন কোনো কিছু করা যায় না। নাগরিকরা ভোট দিতে পারুক না পারুক সেটা বিষয় নয়, বিষয়টা হলো তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে হবে।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম যুগোপযোগীকরণ এবং ভোটার নিবন্ধন-সংক্রান্ত ফরমসমূহ পুনর্বিন্যাসকরণ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি জানান, ভোটার তালিকায় যুক্ত হওয়ার চেয়েও নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনাআইডি) পাওয়ার গুরুত্ব বেশি। কেননা এটা না হলে কোনো সেবাই পাওয়া যায় না। প্রবাসীদের তো আরও বেশি প্রয়োজন।
সিইসি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে সঠিক বয়স লিপিবদ্ধ করা এবং ভোটার তালিকা থেকে মারা যাওয়াদের কর্তন করা একটা সমস্যা। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে শিশুর জন্মের পর এবং কেউ মারা গেলে সে তথ্য থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মৌখিক বিবৃতি আকারে জানানোর বিষয়ে ভাবতে হবে।
সিইসি বলেন, মৃত ভোটার একটা সমস্যা। ব্রিটিশ আমলে একটা নিয়ম ছিল। কেউ মারা গেলে থানায় ভারবাল স্টেটমেন্ট দিতে হতো। কোনো বাড়িতে কোনো বাচ্চা জন্ম নিলে বা মারা গেলে থানায় মৌখিক তথ্য দিত। চৌকিদার গিয়ে বলতো যে, ওই বাড়িতে অমুকের একটা সন্তান জন্ম নিয়েছে। কিংবা ওই গ্রামের ওই বাড়ি অমুক মারা গেছেন। থানায় এখন সেটা বলা সম্ভব কিনা। তবে চৌকিদার থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এ তথ্য দিতে পারে কি না ভাবা দরকার।
তিনি আরও বলেন, ৪২ বছর বয়সের লোক ২৪, ২৪ বছর বয়সের লোক ৪২ হতে চায়। অনেকে বিয়ে পাস করার পর বলে পাসই করিনি। নানা কারণে এটা করে থাকেন। এতে দেখা যায় বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের বয়সের পার্থক্য ৪-৫ বছর হয়ে যায়।
তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের বলেন, প্রাইমারি পরীক্ষার সনদ দিলেও বয়স ঠিক করা সম্ভব। একেবারে সঠিক বয়স দিয়ে, পিতা-মাতার নাম দিয়ে, ঠিকানা দিয়ে ভোটার তালিকা করার এখনো সময় বোধহয় আসেনি। আপনারা তবু চেষ্টা করছেন। বয়স ঠিক মতো নেয়া একটি জটিল সমস্যা। এ সমস্যা আপনাদের মোকাবিলা করতে পথ বের করতে হবে।