বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেটে দায়ের করা মামলাটি খারিজের আদেশ দেন সিলেটের সাইবার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবুল কাশেম।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট তানভীর আক্তার খান বলেন, আদেশের নথি আমাদের কাছে এখনও এসে পৌঁছেনি। নথি পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেব এ বিষয়ে আপিল করব কি-না।
এদিকে, বিকেলে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে রংপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ। এর আগে, দুপুরেই রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি হানিফ মিয়া বাদী হয়ে মামলার আবেদনটি করেন।
এছাড়া, চট্টগ্রামেও ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক। গত রবিবার চট্টগ্রামে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম বদরুল আনোয়ার মামলার আবেদন করেন। আজ শুনানি শেষে আবেদন খারিজ করেন সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক এস কে এম তোফায়েল হাসানের আদালত।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার খুলনা ও বরিশালে ডা. মুরাদ হাসান ও মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দেন আদালত। আর গত সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলাও কারিজ করেন আদালত।
জানা গেছে, ফেসবুক পেইজ ‘নাহিদরেইন্স পিকচার্স’ থেকে পেইজের পরিচালক নাহিদের উপস্থাপনায় গত ১লা ডিসেম্বর লাইভে এসে জাইমা রহমানকে জড়িয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ কথা বলেন ডা. মুরাদ। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এছাড়া, সম্প্রতি এক নায়িকার সঙ্গে মুরাদ হাসানের অশ্লীল কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস হয়। এসব ঘটনার জের ধরে ডা. মুরাদকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডা. মুরাদ সেই নির্দেশনা মেনে পদত্যাগ করেন। পরদিনই তার পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় ডা. মুরাদকে।
এদিকে, মন্ত্রিত্ব ও জেলা আওয়ামী লীগের পদ হারানোর পর ডা. মুরাদ দেশত্যাগ করেন। তিনি কানাডার পথে রওনা দিলেও শেষ পর্যন্ত কানাডায় প্রবেশ করতে পারেননি। সেখান থেকে তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি ফ্লাইটে তাকে তুলে দেওয়া হয়। সেখানেও প্রবেশ করতে না পেরে পরে রবিবার রাতে দেশে ফিরে আসেন ডা. মুরাদ।