বিএম কলেজ প্রতিনিধি:
আজ ২১ অক্টোবর’১৯ সকাল ১১.০০ টায় ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহতের প্রতিবাদে সরকারি বিএম কলেজ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।
বিক্ষোভ মিছিলটি বিএম কলেজ জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের মূল সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে কলেজের সম্মুখ রোড দিয়ে এসে আবার জিরো পয়েন্ট এসে সমবেত হয়।
এসময় বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা ভোলায় তৌহিদী জনতার উপর পুলিশের নির্বিচারে গুলি করার ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানান। তারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে পুলিশের অযোগ্যতা বলে ঘোষণা করেন।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আল মামুন বলেন, “ভোলায় তৌহিদী জনতার উপর পুলিশের বর্বরোচিত হামলা নিশ্চয়ই জাহেলী সমাজব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি৷ মানুষ আইনের কাছে নিরাপদ কিন্তু আজ আইনের মানুষই মানুষকে নির্বিচারে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে। তাহলে সাধারণ এই জনগণ কার উপর আস্থা রাখবে?”
বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ রনি খন্দকার বলেন, “ভোলায় পুলিশী হামলা কখনোই সাধারণ কোনো হামলা নয়। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো বড় ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের এই দেশকে নিয়ে গভীর চক্রান্ত চলছে। তাই আমরা এখনই জেগে ওঠার পালা। নচেৎ আজ আমি গতকাল আপনি হামলার শিকার হবেনই। পাশাপাশি তিনি এই আতর্কিত হামলায় জড়িতদের কঠোরতম শাস্তির দাবি করেন।”
সমজকর্ম বিভাগের ছাত্র মুহাম্মাদ রেজাউল করিম বলেন, “ভোলার সাধারণ জনতার উপর পুলিশের আতর্কিত হামলা দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। সাধারণ জনতা যদি দাবি আদায়ের জন্য মাঠে নামলেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয় তাহলে সেই দেশ স্বৈরাচারে পরিণত হয়। ভোলায় জনতার উপর পুলিশের আতর্কিত হামলা নিশ্চয়ই স্বৈরাচারী কার্যক্রমের বহিঃপ্রকাশ। আমরা চাই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের খুব দ্রুত বহিষ্কার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি যেই ছেলে রাসুল (সাঃ) নিয়ে কটুক্তি করেছে আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাই। নচেৎ বাংলার সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ। ”
এসময় অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ মহিউদ্দিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মুহাম্মদ তামিম, তাওহীদসহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর’১৯ ভোলায় রাসুল (সাঃ) কে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তি করার প্রতিবাদে ভোলার তৌহিদী জনতা তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করলে পুলিশ সেখানে আতর্কিত হামলা করে যার ফলে এ পর্যন্ত শেষ খবর পাওয়া ৭ জন মারা গেছে আহত দেড় শতাধিক। আহতদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসা চলছে।
সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজকে বিএম কলেজ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।