বদলে গেছে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটার চিত্র। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ করে পায়রা সেতু চালু হওয়ায় প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে পর্যটকদের আগমন। আগামী বছর চালু হবে পদ্মা সেতু। এর ফলে বিনিযোগকারীরাও আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে গড়ে উঠেছে পাঁচ তারকা মানের আবাসিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট। ছোট বড় মিলিয়ে কুয়াকাটায় দুই শতাধিক আবাসিক হোটেল, মোটেল রয়েছে। এখানে রয়েছে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বাংলো। এছাড়া গড়ে উঠেছে উন্নতমানের খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ। দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন কুয়াকাটা পর্যটন নগরী বিদেশী পর্যটকদের কাছেও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মহান বিজয় দিবসসহ তিনদিনের ছুটিতে আগমন ঘটেছে হাজারো পর্যটকের। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট, লেম্বুর চর, ঝাউবাগান, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন তাঁতপল্লী এবং শুটকী পল্লীসহ দৃস্টিনন্দন পর্যটন স্পটগুলো এখন আগত দর্শনার্থীদের সরব উপিস্থিতি। এদিকে টানা তিনদিনের ছুটিতে আগে ভাগেই অধিকাংশ হোটেল-মোটেলগুলোর রুম বুকিং হয়ে গেছে। বছরের বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে এমন পর্যটকদের আগমন ঘটে। আর এ রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমনে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও এখন বেজায় খুশি। এর ফলে করোনাকালীন সময়ের কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে বলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
সমুদ্র বাড়ি রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, আগেই আমাদের সবগুলো রুম বুকিং রয়েছে। ১৬ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সবকক্ষ অগ্রিম বুকিং দেওয়া রয়েছে।
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হাওয়ায় এখন পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। পদ্মা সেতু চালু হলে কুয়াকাটা হবে দেশী বিদেশী বিনিয়োগকারীদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। ইতোমধ্যে অনেক বিনিয়োগকারী বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এ এম মিজানুর রহমান বুলেট বলেন, পায়রা সেতুটি চালু হওয়ায় পর্যটকরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কুয়াকাটায় আসতে পাড়ছে। এখন সারা সপ্তাহ জুড়ে কুয়াকাটায় পর্যপটক থাকে।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, বিজয় দিবস ও সরকারি তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক এসেছে। তবে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে ঘুরতে পারে এবং কোনো ধরনের প্রতারনার শিকার যাতে কেউ না হয় সে জন্য কুয়াকাটা পৌরসভার টিম সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।