কুয়াকাটা প্রতিনিধি :-
কুয়াকাটায় বাস শ্রমিকদের হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছে একটি পর্যটক পরিবার। এসময় ভিডিও করার অপরাধে মোবাইলছিনিয়ে নিয়ে আছড়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। নরসিংদীর বাবুর হাট থেকে আসা রুবেল নামের এক ব্যবসায়ী তার পরিবারের আটসদস্যকে নিয়ে বরিশাল থেকে বাসে কুয়াকাটা আসেন। বাসের দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় বাস স্টাফদেরগালাগাল ও পরে কুয়াকাটায় পৌঁছে বাস থেকে নামার সময় হামলা মারধরের ঘটনা ঘটে। রেহাই পায়নি ওই পর্যটক পরিবারেরনারী সদস্যরাও। মারধরের একপর্যায় পর্যটক রুবেলের আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন খোয়া যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।শনিবার বিকেল তিনটার দিকে এই হামলা চালানো হয়। আহত পর্যটকরা হচ্ছেন, মোঃ রুবেল, রিপন মাহমুদ ও মোসাম্মৎ হনুফাবেগম। হামলার শিকার রুবেল জানান, তারা পারিবারিকভাবে শিশু সন্তানসহ ৮জন বরিশাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ‘ছন্দা’ নামের (পটুয়াখালী-ব-৩১-০০৪৫) বাসে বেলা ১১টার দিকে ওঠেন। পথিমধ্যে রুবেলের সঙ্গে থাকা তার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়েপড়লে তার নির্ধারিত সিটে ওই শিশুকে শুইয়ে রেখে নিজে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় বাসের কন্ডাক্টর এসে দাঁড়িয়ে থাকলেএকজনের বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে বলে উচ্চবাক্য বিনিময় করেন। এ ঘটনার কিছু অংশ ভিডিও করেন রুবেল এবং পাশেরসিটে বসা পর্যটক ল²ীপুর থেকে কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা ওই বাসের যাত্রী রিপন মাহমুদ। কন্ডাক্টর মোবাইল ফোনে ভিডিও করায়হুমকি দিয়ে চুপ থাকেন। বিকেলে বাসটি কুয়াকাটায় এসে থামতেই বাস শ্রমিকরা সংঘবদ্ধভাবে পর্যটক পরিবারটির ওপর হামলেপড়ে। ভিডিও করার অপরাধে মার খায় পর্যটক রিপন মাহমুদও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মহিপুর থানার এসআই মোজাম্মেল গিয়েবাসের চালক মোঃ কামাল ও সুপারভাইজার জামালসহ ওই পর্যটকদের থানায় ডেকে নেয়। বাস চালক কামাল হামলার বিষয়অস্বীকার করে বলেন, ‘একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।’ রুবেল জানান, তাকে মারধর করে স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নিয়ে গেছে। মোবাইলভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। মহিপুর থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পর্যটক পরিবারটি লিখিতঅভিযোগ দিতে অস্বীকার করায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি, তবে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।