বুধবার, স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের নিয়ে ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরন করে। সেখানে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
মালদ্বীপ সফরকালে ২৩ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে দুটি চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে দ্বৈত কর পরিহার এবং বন্দী বিনিময়, স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসা বিজ্ঞান (নবায়ন) ও দুদেশের যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নয়নে সহযোগিতা।
এছাড়া বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগে যে চুক্তি তাও নবায়ন করা হবে বলে জানা গেছে। একই সাথে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ দুটির মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ মালদ্বীপকে ১৩টি সামরিক যান উপহার দেবে।
সফরকালে মালের হোটেল জিনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম, পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ এবং সে দেশের প্রধান বিচারপতি উজ আহমেদ মুতাসিম আদনান সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল বিকেলে মালদ্বীপের পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন। সন্ধ্যায় মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ও সে দেশের ফার্স্টলেডি আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় শেখ হাসিনা যোগ দেবেন। শেখ হাসিনা শুক্রবার মালেতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া সংবর্ধনায় ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন। এরপর ২৭ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন।