ঝড়-বৃষ্টি-শীতেও ঐ তিনটি টিনের চালার খোলা ঘরে শিকল বন্দী হয়ে থাকতে হয় তাকে। পাশেই ছাপড়ার সঙ্গেই লাগানো জরাজীর্ণ একটি ঘরে সাইদুলের মা বকুল বেগম বসবাস করেন। ৩ ভাই আর ১ বোনের মধ্যে সাইদুল মেজো। সাইদুলের মা মোসা. বকুল বেগম বলেন, আমার ছেলেটা অনেক ভালো ছিল। ছোট বেলায় ওর বাবা মারা গেছে। অনেক কষ্ট করে নিজের লেখাপড়ার খরচ জোগাতো সে। কিন্তু হঠাৎ করেই মাথা খারাপ হয়ে যায়। কি কারণে এমনটা হলো বলতে পারি না। প্রাথমিক অবস্থায় ফকির, কবিরাজ দিয়ে ঝাড়ফুক আর গ্রাম্য চিকিৎসা করানো হয়েছে। যদি ছেলেটা কোথাও চলে যায় বা কাহারও কোন ক্ষতি করে এই ভয়ে বাধ্য হয়েই পায়ে শিকল পড়িয়ে রাখছি।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজী আঃ ওয়াহেদ জানান, অতি দরিদ্র পরিবারটির পক্ষে সাইদুলের চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। হয়তো উন্নত চিকিৎসা পেলে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, ১৮ বছর ধরে যুবকটি শিকলে বন্দী অবস্থায় রয়েছে। এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। যদি পরিবারটি রাজি থাকে তাহলে অবশ্যই পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়ে তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।