শামীম আহমেদ, ॥
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চে অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসা দেয়া শুরু করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ সাত চিকিৎসক। আজ শনিবার সকাল ছয়টা থেকে তারা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, ওই ৭ চিকিৎসকের মধ্যে ছয়জন রাত ১টার দিকে বরিশালে এসে পৌঁছান। অগ্নিদগ্ধ হয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ৭২ ভর্তি হলে তার মধ্যে গুরুত্বর আহত ১৯ জনকে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাদের উন্নত চিকিৎকার জন্য প্রেরন করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানের শেবাচি হাসপালে ৪০ অগ্নিদগ্ধ রোগী রয়েছে। তাদের সেবা কার্যক্রম শুরু করেছেন ঢাকা থেকে আসা সাত চিকিৎসক। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোগী দেখা শুরু করেন দলের আরেক চিকিৎসক। সাইফুল জানান, হাসপাতালের বার্ন ইউনিট বন্ধ থাকায় লঞ্চে গুরুতর দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ কারণে ঢাকা থেকে এ মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। সাত সদস্যের মেডিক্যাল টিমের প্রধান নুরুল আলম বলেন, ‘আমরা আজকে রোগীদের পর্যবেক্ষণ করছি। প্রয়োজন হলে আজকেই জরুরি অপারেশন করব। এ কারণে অপারেশন থিয়েটার প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। ‘এখানেই প্লাস্টিক সার্জারি সম্ভব। যাদেরটা সম্ভব নয়, তাদের ঢাকায় নেয়া হবে।’ ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ আছে শতাধিক। এ ঘটনায় আহত অনেককে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, নৌযানটিতে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজার জন।