আসামিরা হলো, বরগুনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গাজীকালু দরবারের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম (৫২) ও তার ছেলে আরিফ (২১)। নুরুল ইসলাম পেশায় একজন বাস চালক এবং তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া, ছেলে আরিফ বখাটে বলেও জানা যায়।
কিশোরীর মা বাজারে সবজি বিক্রি করেন। এই সময়টাতে মেয়ে থাকে তার বান্ধবীর বাসায়। সুযোগ পেয়ে বান্ধবীর বাবা নুরুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে সেই কিশোরীকে। এরপর তার ছেলে আরিফও ধর্ষণ করে তাকে। এ ঘটনার পর কিশোরীর মা বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, তারা সেই বাসায় ভাড়া থাকেন। তাকে বাবা-ছেলে নানা সময়ে উত্যক্ত করত বলেও অভিযোগ করে মেয়েটি। এই ঘটনার যথাযথ বিচার দাবি করেন ওই কিশোরী।
বাবা-ছেলের এ ধরণের অপকর্মের বিচার চাইতে গেলেও নানা হুমকি-ধমকির শিকার হন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। ওই কিশোরীর মা বলেন, ‘আমি তো বাসায় সব সময় থাকি না। মেয়ে একাই থাকে অনেক সময়। এই সুযোগে নুরুল ইসলাম এবং তার ছেলে কয়েকবার বাড়িতে আসে। এখন আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। এটা নিয়ে কথা বলতে গেলেই আমাকে মারধর করা হয়।’
তবে বাবা-ছেলের এ ধরণের অপকর্ম নতুন কিছু নয় বলে দাবি প্রতিবেশীদের। বাবা-ছেলের অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভুক্তভোগী কিশোরীর মা থানায় এসে অভিযোগ করেন যে, নুরুল ইসলাম এবং তার ছেলে তার মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করেছে দীর্ঘদিন ধরে। মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর অভিযুক্তদের আটক করা হয়। এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুটি আলাদা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান তিনি।