বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

সার্চ কমিটি না করে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব কৃষক জনতা লীগের

সার্চ কমিটি না করে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব কৃষক জনতা লীগের

নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন না করে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।

রবিবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ প্রতিনিধিদলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানান।

বঙ্গভবনের বিবৃতিতে জানান হয়, সংলাপে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নসহ ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেন। তারা আইন প্রণয়ন সম্ভব না হলে সার্চ কমিটির পরিবর্তে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন দেশপ্রেমিক মানুষদের দিয়ে জনগণের আস্থাভাজন ও গ্রহণযোগ্য পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন যাতে দুইজন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত হবেন। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও মুক্ত রাখার প্রস্তাব করেন। নির্বাচন কমিশনকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত না নিয়ে কোনো নির্বাচনি বিধি বিধান প্রণয়ন না করারও প্রস্তাব করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার প্রস্তাব করে দলটি। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের দক্ষতার চেয়েও সরকারের নিরপেক্ষতা বেশি জরুরি।

এদিকে, সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী গণমাধ্যমের কাছে বলেন, মতের মিল না থাকলেও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনায় অংশ নেয়া উচিত ছিলো। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ভাল ছিল না অভিযোগ করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীক ছাড়া করার আহ্বান জানান কাদের সিদ্দিকী।

এর আগে, গেল ২০শে ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু হয়।

প্রসঙ্গত, সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কথা উল্লেখ থাকলেও গত ৫০ বছরে সে আইন হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গত দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি সম্ভাব্য ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করার পর রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেন।

এমনই সার্চ কমিটি থেকে বর্তমান কে এম নুরুল হুদা কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি। কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছেন রাষ্ট্রপতি। সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো সার্চ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে যে নামগুলো প্রস্তাব করবে সেখান থেকেই রাষ্ট্রপতি যাদের যোগ্য মনে করবেন তাদের নিয়েই কমিশন গঠন হবে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech