বরগুনার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ,বেতাগী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিরাবাদ ইউনিয়নের ৪ বার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মো. মোশাররফ হোসেন(৭৬) গত শনিবার শেষ রাতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন যাবত লিভার, গ্যাষ্টিক-আলসাসহ নানাবিধ জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি অন্ত্রিমযাত্রায় স্ত্রী , তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

উপজেলার চান্দখালী ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আজ সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেনের কফিনে উপজেলা প্রশাসন , স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর রাস্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। প্রিয় এ ব্যাক্তির জানাজায় ছুটে আসেন সর্বস্তরের মানুষ। জনসমুদ্রে পরিনত হয় তাঁর জানাজা। জানাজা শেষে এ সময় প্রিয় এ মানুষটির কফিন দেখার জন্য স্বজন ও শুভাকাঙ্খীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানাজা নামাজ শেষে উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আয়লা-চান্দখালী গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক গোরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোশাররফ হোসেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় ৯ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর আব্দুল জলিলের অধীনে বামনা বুকাবুনিয়ার সাব-সেক্টরে যুদ্ধে অংশ নেন। ২০২১ সালের প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে তিনি ওই কাজিরাবাদ ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান নিবার্চিত হয়েছেন। এছাড়া গত আরো ৪ বার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান।

তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক। তাঁর কাজিরাবাদ ইউনিয়নে হাজ্বী ফখরুদ্দিন হাফেজী মাদরাসা, চান্দখালী কদভানু মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়, চান্দখালী মোশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজ এবং একটি এতিমখানাসহ ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তাঁর মৃত্যুতে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক , সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বেতাগী প্রেসক্লাবের কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত চান্দখালী মোশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজ , চান্দখালী কদভানু মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল ও হাজ্বী ফকরুদ্দিন হাফেজী মাদরাসায় শিক্ষক কর্মচারীরা আজ সোমবার থেকে ৩ দিনের শোক কর্মসূচি পালন করছে।