মঙ্গলবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী রেল কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনেই ট্রেন চলাচল করবে। বুধবার থেকে ১৫ এবং তার পরের তারিখের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) বিস্তাররোধে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে সরকার কর্তৃক বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে ট্রেন, বাস ও লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার স্বার্থে শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রয়ে নিম্নে বর্ণিত সংশােধনী আনা হলাে।
১. যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করণার্থে আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের বিদ্যমান আসনসংখ্যার অর্ধেক টিকিট ইস্যুকরণ।
২. হ্রাসকৃত আসনসংখ্যার অর্ধেক (অর্থাৎ মােট আসনসংখ্যার ২৫%) টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে এবং বাকি অর্ধেক আসনের (অর্থাৎ মােট আসনসংখ্যার ২৫%) টিকিট মােবাইল অ্যাপ/অনলাইনের মাধ্যমে ইস্যু করা।
৩. আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের স্ট্যান্ডিং টিকিট ও স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম টিকিট ইস্যু সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
৪. ইতিপূর্বে রেলপথ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমােদিত ইমার্জেন্সি কোটা ও আন্তঃনগর ট্রেন ম্যানুয়াল অনুযায়ী পাস কোটা ব্যতীত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রয়ে বিদ্যমান সকল প্রকার কোটা ব্যবস্থা রহিত করা।
৫. কাউন্টারে টিকিট ইস্যু ও ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীর মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
৬. প্রচলিত নিয়মানুযায়ী ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনপূর্বক আন্তঃনগর ট্রেনে ক্যাটারিং সেবা প্রদান ও ট্রেনে রাত্রিকালীন বেডিং সরবরাহ করতে হবে।