বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশালের বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গফুর মৃধার বাড়ি সংলগ্ন কালকিনি খালের উপর নির্মিত সেতুতে উঠতেও বাঁশ এবং নামতেও বাঁশ। কথাটি দুঃখেরসাথে বললেন স্থানীয়রা। সেতুটি ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলচর ও বায়লাখালী গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষের পারাপারের জন্য নির্মিত হলেও উল্টো চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবসী। আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতা এ ভোগান্তির মূল কারণ। এতে বিপাকে পড়েছেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। সেতুটি নির্মাণ সমাপ্ত হলেও দুই প্রান্ত সড়কের সমতা থেকে দূরে এবং অনেক উচ্চতায়। সড়কের সাথে সংযোগ না থাকায় সেতুতে উঠতে ও নামতে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসী। আর বর্ষা মৌসুমে এ ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোলচর ও বায়লাখালী এলাকার মানুষের পারাপারের সুবিধার জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্থানীয় সরকারের সহায়তা প্রকল্প (এলজিএসপি -৩) এর অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেতুর দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকার লোকজন বাঁশের সাঁকো বানিয়ে পারাপার হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মো. কাঞ্চন মোল্লা, শাহ আলম মোল্লা ও আলমগীর খানসহ বেশ কয়েকজন জানান, সেতু দিয়ে শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, এলাকার প্রায় ২ হাজার লোক আসা-যাওয়া করেন। এ ছাড়া এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে চার কিলোমিটার ঘুরে আমীরগঞ্জ বাজারসহ বরিশাল সদরে যাতায়াত করতে হয়। এতে এলাকাবাসীর ভোগান্তি বেড়েছে। তাই সেতুটির দুই প্রান্তে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মানের জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগীরা। জানা গেছে, ২০১৯- ২০ অর্থবছরে স্থানীয় সরকারের সহায়তা প্রকল্প (এলজিএসপি-৩) অর্থায়নে এবং ইউপি চেয়ারম্যানের বাস্তবায়নে চাঁদপাশা ইউনিয়নের পশ্চিম কোলচর ও বায়লাখালী গ্রামের মো. গফুর মৃধার বাড়ির সামনে কালকিনি খালের ওপর ১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০ ফুটের আয়রন সেতু নির্মাণ করা হয়। এলাকাবাসী বলছেন, নির্মানের প্রায় ১ বছর পার হলেও পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনিচুর রহমান সবুজ সংযোগ সড়কের মাটির কাজ রহস্যজনক কারণে ফেলে রেখেছেন। চাঁদপাশা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মামুন মোল্লা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনিচুর রহমান সবুজ তার তত্বাবধানে সেতুটি নির্মাণ করেছেন। তবে কি কারণে সেতুর দুই প্রান্তে মাটি ভরাট করা হয়নি তা তিনি জানেন না। চেয়ারম্যান তার ইচ্ছামত কাজটি করেছেন। এ ব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনিচুর রহমান সবুজ বলেন, এলজিএসপির অর্থায়নে ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তখন ছিলো বর্ষা মৌসুম। আর এ কারনে মাটি ভরাটের কাজ করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া সেতুর দুপ্রান্তের জমি থেকে কেউ মাটি দিতে রাজি হয়নি। তবে মানুষের পারাপারের জন্য সেতুর দুই প্রান্তের সংযোগ সড়কে এক সপ্তাহের মধ্যে মাটি ভরাট করে জনগণের পারাপারের সুযোগ করে দেয়া হবে।