বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিবকে দেওয়া ৭ কাউন্সিলরের লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিয়েছে নগর ভবন। মঙ্গলবার বিকালে আইনজীবী জগদীশ চন্দ্র সরকারের মাধ্যমে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুখ হোসেন ওই সাত কাউন্সিলরকে লিগ্যাল নোটিশের জবাব দেন।
জবাবে উল্লেখ করা হয়- সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের ভাতা প্রদান করা হয় ৪৩ হাজার ৫শ টাকা। তবে যারা যাতায়াতসহ বিভিন্ন কাজের ভাউচার জমা দিয়েছেন, সেই সব কাউন্সিলরদের ৬ হাজার ৫শ টাকা প্রদান করা হয়। ওই সাত কাউন্সিলর কোনো ভাউচার জমা না দেওয়ায় তারা করপোরেশন থেকে সেই টাকা পাননি।
কাউন্সিলরদের সিটি করপোরেশনে যাতায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার যে বিষয়টি তারা দাবি করেছেন তা ভিত্তিহীন। প্রথম সাধারণ সভার কার্য বিবরণীতে এমন কোনো কিছু উল্লেখ নেই, সভার পুরো ভিডিও চিত্র সংরক্ষণে রয়েছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের চতুর্থ পরিষদ কতৃক কোনো ধরনের হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়নি। ট্যাক্স বাড়ানোর বক্তব্য উস্কানিমূলক। এছাড়া হাটবাজারসমূহ পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই ইজারা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ দরদাতা ইজারা পেয়ে থাকেন।
জবাবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর চতুর্থ পরিষদের ১৬তম মাসিক সাধারণ সভায় নোটিশ দাতা সাত কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। তারা লিগ্যাল নোটিশে বর্ণিত কোনো অভিযোগ ওই সভায় আলোচনা করেন নাই। লিগ্যাল নোটিশ দাতারা অসৎ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হয়ে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে হেয়প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন।
নোটিশ দাতা সাত কাউন্সিলর নোটিশে উল্লেখিত অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশনের ও মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য নগর ভবন আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে বলে জবাবে উল্লেখ করা হয়।
২ জানুয়ারি ৬টি অভিযোগ উল্লেখ করে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৭ কাউন্সিলর মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিবকে আইনজীবী আজাদ রহমানের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন।
এতে কাউন্সিলররা করপোরেশনে নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন। নোটিশদাতারা হলেন- ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমির হোসেন বিশ্বাস, ৪নং তৌহিদুল ইসলাম, ২৬নং হুমায়ন কবির, ৩০নং ফরিদ আহমেদ, ২০নং জিয়াউর রহমান, ২৪নং শরীফ আনিসুর রহমান ও ২৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার।