বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

নগরীর দি মুন ডায়্যাগনিস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেয়ার কিছুদিনের মাথা আবার চালু

নগরীর দি মুন ডায়্যাগনিস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেয়ার কিছুদিনের মাথা আবার চালু

নগরীর আগরপুর রোড নামসর্বস্ব দি মুন ডায়্যাগনিস্টিক সেন্টার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিলগালা করে দেয়ার কিছুদিনের মাথা আবার চালু করে দিয়েছে ওই প্রতারনা ব্যবসা।
সূত্র জানায়, ২৫ জুলাই ২০২০ আগরপুর রোড দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেস ড্যায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান। অভিযানকালে দালাল সরদার মো. কাহিনসহ মোট ৪ জনকে দন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ৩ মাসের মাথায় জেল থেকে বের হয়ে এসে একই স্থানে একই নামে আবার শুরু করে দিয়েছে ডায়্যাগনিস্টিকের নামে প্রতারনা ব্যবসা।
সূত্র জানায়, নামসর্বস্ব এই দি মুন ডায়্যাগনিস্টিক সেন্টারটি বর্তমানে আরো বেশি প্রতারনা শুরু করে দিয়েছে। এখানে ডাক্তার কিংবা ট্যাকনোজলিষ্ট নেই। পরীক্ষার সনদে চিকিৎসকের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত উপকরণে কোন প্রকার মেয়াদ ও মান ঠিক নেই। এমনকি দি মুন ডায়্যাগনিস্টিক সেন্টারটির প্রো: শাহিন (ঝাড়–দার)-এর কাছে বৈধ কোন সনদ বা সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত নেই।
সূত্র আরো জানায়, দালাল সরদার শাহিন বহুদিন যাবৎ ভূয়া ডায়্যাগনিস্টিক ব্যবসার আড়ালে মরন নেশা ইয়াবার ব্যবসা ও সেবন করে। এছাড়াও শাহিন কখনো কখনো নিজেকে একজন সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয়।
নামপ্রকাশে অনেচ্ছুক এক ডায়্যাগনিস্টিক মালিক বলেন, দালাল সরদার শাহিন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন নামে এই ভূয়া ডায়্যাগনিস্টিক এবং ফিজিওথ্যারাপি ব্যবসা করেছে। গ্রাম থেকে আসা অসহায়, দুস্থ রোগীদের শাহিন ভূয়া ডায়্যাগনিস্টিক এবং ফিজিওথ্যারাপি সেন্টারে ভাল চিকিৎসা দেবার নাম করে এনে সর্বস্ব লুটে নেয় এই শাহিন।
এদিকে, এবিষয়ে জানতে মো. শাহিনকে সেল ফোনে ফোন দিলে (০১৭১৪৫১১২০৫) তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফির্সার ইনচার্জ (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, এ প্রসঙ্গে আমার জানা নেই। আমি মডেল থানায় সম্পূর্ন নতুন। তবে কোন প্রকার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যপারে জেলা সিভিল সার্জন ডা: মারিয়া হাসান বলেন, আমি বরিশালে নতুন এসেছি, এবিষয়েটি আমার জানা নেই। আপনরাদের কাছে শুনলাম। তবে আমি এটুকু বলতে পাড়ি, সিলগালা করে দেয়া কোন প্রতিষ্ঠান পুনরায় ছাড়পত্র দেয়ার নিয়ম নেই। যদি কেই খুলে থাকে, তা গোপনে। আর ম্যাজিস্ট্রেটেসি পাওয়ার আমাদের নেই। এটা জেলা প্রশাসকের ব্যাপার। অচিরেই এসব অবৈধ্য প্রতিষ্ঠানের ব্যপারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech