রবিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এদিকে, বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনে পুলিশ ছাড়া সকল মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আবারও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপাচার্যের অপসারণ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে উপাচার্যের পদত্যাগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এছাড়া, ভার্চুয়াল মিটিংয়েও শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপাচার্যের অপসারণের বিষয়ে কোনো আশ্বাস মেলেনি। তবুও কিভাবে ভিসিকে অপসারণ করা হবে, সে বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী বলেও জানান তারা।
এসময় একজন বোমাবাজ উপাচার্যের সিংহাসন বেশি দামি নাকি ২৭ শিক্ষার্থীর জীবন বেশি দামি? এমন প্রশ্নও তোলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে গেল বুধবার উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে অনশনে বসে ২৪ শিক্ষার্থী। ৫ম দিনের মতো অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। নতুন করে গণঅনশন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে আরও ৪ শিক্ষার্থী। এছাড়া, আমরণ অনশনকারীদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ওই হলের কয়েক’শ ছাত্রী। সেই আন্দোলনের এক পর্যায়ে জাফরিন আহমেদ পদত্যাগ করেন। এর মধ্যেই শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। নতুন দাবি যুক্ত করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
গত ১৬ই জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে আইসিটি ভবন থেকে উপাচার্যকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ওই ঘটনার পর অজ্ঞাত কয়েক’শ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। সেই মামলা প্রত্যাহার এবং উপাচার্যের পদত্যাগের নতুন এক দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা।