শামীম আহমেদ:
১০ লাখ টাকা চাদা দাবি ও ভুয়া সনদ দেখিয়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধ সংবাদ সম্মেলন করেছে এক রিকশা চালক।
আজ রোববার বেলা ১১ টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্ত ভোগি মোঃ নুরুল ইসলাম। তিনি বরগুনা জেলাধীন, আমতলী পৌরসভার খোন্তা কাটা ৩নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল জব্বার মুসল্লির ছেলে।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর বরগুনা জেলাধীন, আমতলী পৌরসভার খোন্তাকাটা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত. ইসমাইল তালুকদার এর ছেলে স্থানীয় কাউন্সিনলর মোঃ জাহিদুল ইসলাম (জুয়েল তালুকদার)।
সংবাদ সম্মলনের লিখিত বক্তব্যে রিকশা চালক মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন আমি পেশায় একজন রিকশা চালক। স্ত্রী , এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। রিকশা চালিয়ে যা উপার্যন হয় তা দিয়ে কোন ভাবে আমার সংসার চলে।
তিনি বলেন, আমার ভিটে মাটি দখলের জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বরগুনা জেলাধীন, আমতলী পৌরসভার খোন্তাকাটা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত. ইসমাইল তালুকদার এর ছেলে স্থানীয় কাউন্সিনলর মোঃ জাহিদুল ইসলাম (জুয়েল তালুকদার) আমার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড মুসলিম গোরস্থান রোড পৌরসভার পানির ট্যাংকির উত্তর পার্শ্বে নিজ রেকডিয় জমি দখলের পায়তারা শুরু করেছে। উক্ত জমিতে আমার বসতবাড়ি রয়েছে। ৩নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিনলর মোঃ জাহিদুল ইসলাম (জুয়েল তালুকদার) ওই জমি বাবদ আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বিকার করলে ভুমিদস্যুকাউন্সিলর আমার বসত বাড়ির জমিতে নাচনপাড়া এলাকার মৃত. আবুল হোসেন হাওলাদার এর ছেলে মোঃ আঃ সোবাহান ও মাইঠাচালা ভাঙ্গা এলাকার মোঃ আঃ সোবাহান এর মেয়ে মোসাঃ লিপিকে জোড় পূর্বক ঘর উঠিয়ে দেয়। এতে আমার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে তারা আমাদের বিভিন্ন হুমকী ও মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসানোর ভয় প্রদর্শন করে। এমনকি বেশি বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দেয়।
হুমকী ও চাঁদাদাবির ঘটনায় আমি বরগুনা পুলিশ সুপার ও গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দায়ের করায় ভুমিদস্যু মোঃ জাহিদুল ইসলাম (জুয়েল তালুকদার) আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী অব্যহত রাখে। তার ভয়ে আমি এলাকায় যেতে পারছিনা।
আমতলী পৌরসভার খোন্তাকাটা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিনলর মোঃ জাহিদুল ইসলাম (জুয়েল তালুকদার) এর বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে ক্ষমতা আর ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারছেনা। আমি প্রতিবাদ করায় এখন আমাকে এলাকা ছেড়ে অনত্র থাকতে হচ্ছে।
কাউন্সিনলর মোঃ জাহিদুল ইসলাম (জুয়েল তালুকদার) জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে অন্য আর একজনের সার্টিফিকেট নিজের নামে করে স্থানীয় বেগম নুরজাহান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ বাগিয়ে নিয়েছে। এবিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে , গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর আমতলী থানায় বরগুনা দেং মোঃ নং ৭৩৯/২০২১ দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়াও মোকাম আমতলী বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে আমি বিদ্যালয়ের অবিভাবক হিসেবে নিজে বাদী হয়ে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে সভাপতি পদ হাতিয়ে নেওয়ায় কাউন্সিনলর মোঃ জাহিদুল ইসলাম (জুয়েল তালুকদার) এর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করি। যার মোকাদ্দমা নং ৯৩৯/২০২১।
কাউন্সিনলর মোঃ জাহিদুল ইসলাম (জুয়েল তালুকদার) , তার পিতার নাম মৃত. ইসমাইল তালুকদার। কিন্তু তার প্রত্যয়ন পত্রে দেখা যায় তার পিতার নাম মোঃ মোক্তার আলী লেখা রয়েছে।
এবিষয়ে আমি আমতলী পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান এর বরাবরে অভিযোগ করেছি। তবে তিনিও তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রশাসন ও পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযোগ অস্বিকার করে মোঃ জাহিদুল ইসলাম (জুয়েল তালুকদার) বলেন, ও একটা রিকশা চালক হয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করার টাকা কোথায় পেল। ওর কাছে ১০ লাখ টাকা চাদা চাওয়া তো দুরের কথা ওর তো চালানই নেই। আপনারা এলাকায় আসেন খোজ নেন।