বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বরিশালে চিরনিদ্রায় শায়িত বিচারপতি নাজমুল আহাসান

বরিশালে চিরনিদ্রায় শায়িত বিচারপতি নাজমুল আহাসান

বরিশাল প্রতিনিধি:
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের ঢাকায় প্রথম নামাজের জানাজা শেষে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা শুক্রবার রাত ৯টায় বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এর আগে বেলা ১১টার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন সংলগ্ন প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিবুল ইসলাম, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কবির উদ্দিন প্রামাণিক, বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ, বরিশাল প্রেসক্লাব, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ মরহুম বিচারপতির ভাই তৌফিক মারুফ, ছেলে তাঈম হাসান প্রান্তসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জুলি নিবেদন করা হয়। এসময় বিভিন্ন পেশাজিবী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বিচারপতির মরদেহ নগরীর কাউনিয়াস্থ জানুকিসিংহ রোডের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শেষ বারের মতো বিদায় জানান মরহুমের মাসহ স্বজনরা। এসময় স্বজনদের মাঝে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এরপর মুসলিম গোরস্থানে বিচারপতিকে দাফন করা হয়।
এদিকে শুক্রবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই বিচারপতি। ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত অন্য তিন বিচারপতির সাঙ্গে নাজমুল আহাসানও আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলার হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন এফ আর এম নাজমুল আহাসান। তার পিতার নাম মো. আনোয়ার হোসেন ও মাতার নাম জাহানারা বেগম। তিনি সরকারি ব্রহমোহন কলেজ থেকে বিএ (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর বরিশাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাস করে ১৯৮৬ সালের ১৮ মার্চ বরিশাল জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৪ সালের ২২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের ও ২০০৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। পরে ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী হন।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech