এসময় তিনি জানান, গত ৬ই ফেব্রুয়ারি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর দেশ-বিদেশ থেকে তারা ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। সরাসরি নাম জমা দেওয়া ছাড়াও ই-মেইলের মাধ্যমেও একটি বড় সংখ্যায় মানুষ ব্যক্তিগত পর্যায়েও নিবন্ধনের জন্য নাম পাঠিয়েছেন।
শফিউল আজিম বলেন, ১২ই ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় বিশিষ্ট ব্যক্তি, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে, নির্বাচন ও আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সার্চ কমিটি বৈঠক করবে। এবং ১৩ই ফেব্রুয়ারিতেও সুশীল সমাজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর পরবর্তীতে তাদের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সার্চ কমিটি।
এদিকে, এ পর্যন্ত ২৫টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশন গঠনে যোগ্য ব্যক্তিদের নামের তালিকা জমা দিয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে ১০ জন পছন্দের ব্যক্তির নামের তালিকা জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। পরে বিকল্পধারা, জাসদসহ বাকি দলগুলোও নামের তালিকা জমা দেয়।
তবে চিঠি পেলেও সার্চ কমিটিকে নাম না দেয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে নিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৬০ জন বিশিষ্টজনের মতামত নেবে সার্চ কমিটি। এজন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, বিএমএ, জাতীয় প্রেসক্লাব, কেআইবি, আই ই বি, এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন কমিশন গঠিত হবে এমন প্রত্যাশা সার্চ কমিটির। ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠনে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবেন। এরমধ্যে পাঁচজনকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন নতুন নির্বাচন কমিশন।