বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘১৫ আগস্টের সঙ্গে জিয়াউর রহমান যদি জড়িত নাই থাকতো তাহলে তিনি এ খুনিদের নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিলেন কেন? মির্জা ফখরুল সাহেব এ প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের শোক দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সেভেন্টি ফাইভের কন্সপাইরেসি কন্টিনিউ হয়েছে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে জড়িত, তারাই ২১ আগস্ট হামলা সংঘটিত করেছেন। মুফতি হান্নান আদালতে স্বীকার করেছে ২১ আগস্ট হামলার মাস্টারমাইন্ড এবং নির্দেশদাতা তারেক রহমান।’
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘যদি আপনারা জড়িত না থাকেন তাহলে এফবিআইকে কেন তখন তদন্ত করতে দিলেন না। স্কটল্যান্ডের তদন্ত টিমকে কেন কাজ করতে দিলেন না?’
তিনি বলেন, ‘২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিন সকালেই খালেদা জিয়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন। তিনি কোথায় ছিলেন, কেন গিয়েছিলেন? যিনি দুপুরের আগে ঘুম থেকে ওঠেন না, সূর্য ওঠার আগেই তার এ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যায় তিনি ঘটনা জানতেন এবং জড়িত ছিলেন।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘যারা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে তাদের আমি বলতে চাই আপনারাই বলুন আপনাদের নেত্রী কেন ২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। কিন্তু তাদের এ অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে অলৌকিকভাবে আমাদের নেত্রী বেঁচে যান।’
এ সময় ১৫ আগস্ট জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন এবং পরবর্তীতে তার দলই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সিরাজুদ্দৌলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন মীরজাফর, জগৎশেঠ, ইয়ার লতিফরা। ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে জোট বেঁধে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন।’
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন দলটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, নির্বাহী সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, পারভিন জামান কল্পনা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।