বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

নুসরাতের কবরে ফুটন্ত গোলাপের ছবি ভাইরাল

নুসরাতের কবরে ফুটন্ত গোলাপের ছবি ভাইরাল

বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে। এ উপলক্ষে সোনাগাজীসহ আদালত চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে, এই রায়কে ঘিরে একটি ফুটন্ত সাদা গোলাপ ফুলের ছবিসহ স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তাতে লেখা, ‘ফুল ফুটেছে রাফির (নুসরাত জাহান) কবরে ফেনীর আদালত থাকবে সারা দেশের মানুষের নজরে’। স্ট্যাটাসে নেটিজেনরা নুসরাত হত্যার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছেন।
তাদেরই একজন হুমায়ুন কবির। তিনি লিখেছেন, “ফুল ফুটেছে রাফির কবরে ফেনীর আদালত থাকবে সারা দেশের মানুষের নজরে” এই হল আজকের ফেনীবাসীর স্লোগান।

তবে শুধু ফুটন্ত সাদা গোলাপ নয়, কেউ কেউ নুসরাতের কবরের বেষ্টনীর সঙ্গে থাকা ফুটন্ত লাল গোলাপের ছবিও পোস্ট করে অপরাধীদের শাস্তি দাবি করছেন।

জানা যায়, ২৭ মার্চ সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানি করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। একই দিন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে। পরবর্তীতে ৬ এপ্রিল নুসরাতের আলেম পরীক্ষা চলাকালীন কৌশলে নুসরাতকে মাদ্রাসার সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় তার সহপাঠী উম্মে সুলতানা পপি। ওখানে অপেক্ষায় ছিল বোরকা পরা আরও চারজন। তারা নুসরাতকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। নুসরাত রাজি না হওয়ায় তারা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। আগুনে তার শরীরের ৯৫ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় নুসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়। নুসরাতের মৃত্যুর পর তার হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ফেনীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১২ জন হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech