বরিশাল: প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মনুষ্য সৃষ্ট ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন কবলিত হিজলা উপজেলা রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে বরিশালে।
শনিবার দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মলেন দাবীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হিজলা উপজেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম দুলাল।
লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম দুলাল বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশে শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা,রাজনীতি থেকে কৃষক বিদ্রোহ, কৃষক-প্রজা স্বত্ত্ব-স্বদেশী আন্দোলন, ভাষা, শিক্ষা, ৬ দফা, ৬৯’র এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০’এর জাতীয় নির্বাচন তথা স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা ও ‘৭১’র মুক্তিযুদ্ধে বরিশাল জেলা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তন্মধ্যে উত্তর বরিশাল তথা সাবেক বরিশাল সদর উত্তর মহকুমাস্থিত এলাকা বা অঞ্চল (হিজলা, মুলাদী, মেহেন্দিগঞ্জ ও কাজিরহাট প্রভৃতি উপজেলা ও থানা সমন্বিত) অপেক্ষাকৃত সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণকারী হিসাবে সর্বজনবিদিত ও সর্বজ্ঞাত এবং স্বীকৃত। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় উত্তর বরিশালে হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, কাজিরহাট, মুলাদী এলাকা প্রায় ১৪টি নদী বিধৌত- বেষ্টিত একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা। সেই এলাকা আজ নদী ভাঙ্গনের করুণ শিকার। হিজলা উপজেলা আজ একটি বিপন্ন জনপদ হিসাবে দেশের প্রশাসনিক, ভৌগলিক ও রাজনৈতিক মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে হিজলা ও কাজিরহাট থানার বিভিন্ন এলাকা করাল গ্রাসী রাক্ষুসে মেঘনা, তার শাখা ও উপ-শাখা নদীভাঙ্গন কবলিত হয়ে নিশ্চিহ্ন ও বিধ্বস্ত। ফলে চরম শঙ্কা ও অসহায়ত্ব নিয়ে অত্র এলাকার অধিবাসীরা জীবন যাপন করে দিগভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। এখন যেকোন মুহুর্তে কাউরিয়া-মুলাদী খাল ও লতা নদীতে ভাঙ্গনের মূল স্রোত প্রবেশ করে হিজলা উপজেলা সদরসহ কাজিরহাটের বিস্তির্ণ এলাকা বিলীন হয়ে যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে ভাষা সৈনিক নায়েব আব্দুল কুদ্দুস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বেজ কমান্ডার আব্দুর রশিদ সিকদারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।