শামীম আহমেদ ॥
চারুকলা বরিশাল, উদীচী শিল্পগোষ্ঠি ও বরিশাল নাটক সহ বরিশাল জেলা প্রশাসন তিনভাগে বিভক্ত হয়ে নতুন বছরের বর্ষবরণ-১৪২৯ সংক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজন ও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপি বৈশ্বক মহামারি করোনার আতঙ্কের দিনগুলি পাড় করে ২ বছর পর বরিশাল চারুকলার নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা। অপরদিকে ফিরে চল মাটির টানে উদীচী শিল্পগোষ্ঠি ও বরিশাল নাটকের নতুন বছরের পৃথক এই প্রতিপ্যাদ্য নিয়ে বরিশালে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান, মঙ্গল শোভাযাত্রা,শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা ও বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে বরিশাল চারুকলা,উদীচী শিল্পগোষ্ঠি ও বরিশাল নাটক সহ বরিশাল জেলা প্রশাসন।
আজ পহেলা বৈশাখ (১৪২৯) বৃহস্পতিবার (১৪ই) এপ্রিল বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদররোডের সিটি কলেজ প্রাঙ্গনে সকাল ৭টায় জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশনের পরপরই মঙ্গলগীত পরিবেশন করে বর্ষবরনের কার্যক্রম শুরু করে চারকলা বরিশাল।
সকাল ৮টায় বর্ষবরন মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে ছোট্রশিশুদেরকে রাখি পড়িয়ে দিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার সূচনা করা হয়।
পরে বাংলার ঐতিহ্য পালকি,ঘোড়া, দোয়েল, চিল সহ বিভিন্ন চিত্র এবং ঢাকের তালে তালে নগরীর বিভিন্ন সড়কে মঙ্গল শোভাযাত্রা বেড় করে শোভাযাত্রা নগর প্রদক্ষিণ শেষে সিটি কলেজ প্রাঙ্গনে চারুকলা বরিশালের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন আয়োজকবৃন্দ।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসার ড. সাদেকুল আরেফিন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত আইজিপি) মোঃ শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম বার)বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গ।
অপরদিকে বরিশাল নগরীর বজ্রমোহন স্কুল প্রাঙ্গন থেকে উদীচী শিল্পগোষ্ঠি ও বরিশাল নটক সকাল ১০টায় এক মঙ্গল শোভাযাত্রা বেড় করে। পাশাপাশি উদীচী ও বরিশাল নটক একই মাঠে ২দিন ব্যাপি বৈশাখী মেলারও আয়োজন করে।
অন্যদিকে বরিশাল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীর বন্দরোডস্থ শিল্পকলা একাডেমিতে বর্ষবরন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এসময় মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন,একদিনের জন্য নয়; ভ্রাতৃবোধ এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা যা বাংলার ঐতিহ্য তা বহমান থাকুক বছর জুড়ে।
এদিকে বর্ষবরণ উপলক্ষে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সহ বিভিন্নস্থানে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কঠোরভাবে দায়ীত্ব পালন করার মধ্যে ব্যাস্তসময় পাড় করেন।