বরিশালের বিভিন্ন স্থানে ঈদের দ্বিতীয় জামাত বৃষ্টির কারণে বিঘ্নিত হয়েছে। এছাড়া ঈদের দিন সকালে কাল বৈশাখী ঝড়ে বিপাকে পড়েছে জনসাধারণ। সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়ো হাওয়ায় অনেক স্থানে গাছপালা এবং কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
তবে আরও ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এদিকে পুরো পরিস্থিতি মনিটরিং করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে জেলা প্রশাসক।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। একই সাথে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। সোয়া ১০টার দিকে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়ো হওয়া আঘাত হানে। এতে অনেক স্থানে ঈদের দ্বিতীয় জামাত ব্যাহত হয়।
এদিকে, আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ে অনেক স্থানে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালাসহ বিভিন্ন মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নগরীর সদর রোডের বিবিরপুকুর পাড় এলাকায় একটি বহুতল ভবন থেকে একটি পানির ট্যাংকি রাস্তায় পড়ে যায়। এতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় স্থানীয়রা।
আজ এবং আগামীকাল বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে বলে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক প্রনব কুমার রায়। এদিকে, ঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি তদারকি করতে কন্ট্রোল রুম চালুসহ পুরো পরিস্থিতি মনিটরিং করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার।
আজ দুপুরে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৯০ ভাগের উপরে। বৈরী আবহওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরে জারি করা হয়েছে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত।