ডেস্ক রিপোর্ট:
সারা দেশে আট শতাধিক হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগেই ১৬৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে ১২টি প্রতিষ্ঠান। আর ঢাকার বাইরে বন্ধ করা হয়েছে ৭১৫টি প্রতিষ্ঠান। লাইসেন্সসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. বেলাল হোসেন। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
গত ২৬ মে দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক-হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ের পর নিবন্ধনহীন কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ডা. মো. বেলাল হোসেন। এরপর থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় অভিযান।
এখন পর্যন্ত সারা দেশে ৮৮২টি অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করা হয়েছে বলে আজ রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ঢাকার বাইরের বন্ধ করা ৭১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চট্টগ্রামে ২২৯টি, রাজশাহীতে ৭৮টি, রংপুরে ১৪টি, ময়মনসিংহে ৯৬টি, বরিশারে ৫৯টি, সিলেটে ৩৫টি ও খুলনায় ২০৪টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে ডা. মো. বেলাল হোসেন বলেছিলেন, ‘এখনও কিছু জেলার তথ্য হাতে আসা বাকি আছে। সেসব তথ্য পেলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। এ বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’