জালিয়াতির মাধ্যমে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নগর করের বিলের কপি তৈরি করে পানি সংযোগের আবেদনের প্রাক্কালে এক প্রতারককে আটক করে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের গ্যাস টারবাইন এলাকার বাসিন্দা রুস্তুম হাওলাদারের ছেলে মোঃ মামুন সোমবার দুপুরে নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ এলাকার একটি দোকানে বসে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নগর করের একটি বিলের কপি তৈরির মাধ্যমে পানির সংযোগের আবেদনের কাগজপত্র প্রস্তুত করছিলো । বিষয়টি নগর ভবনের কর আদায় শাখার এক অফিস সহায়কের নজরে আসলে সে তাৎক্ষনিক তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানায়। খবর পেয়ে কর কর্মকর্তা আজিজুর রহমান অন্যান্য স্টাফদের নিয়ে ওই স্থানে গিয়ে মামুনকে হাতেনাতে আটক করে নগর ভবনের পানি শাখায় নিয়ে যায়। সেখানে মামুনের সাথে থাকা কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সে নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের গ্যাস টারবাইন এলাকার জনৈক ইউসুফ হাওলাদারের নামে বিদ্যমান থাকা ৮৮৩ নম্বর হোল্ডিংয়ের মূল মালিকের নাম পরিবর্তন করে সেখানে একই এলাকার জনৈক মোঃ জাকিরের নাম সংযুক্ত করেছে। একাজে সে রুপাতলী এলাকার বাস টার্মিনাল সংলগ্ন মের্সাস মনি মুক্তা নামক একটি কম্পিউটার কম্পোজের দোকানের সহযোগিতা নিয়েছে। অভিযুক্ত মামুন আরো জানায়, জনৈক জাকিরের বাড়ির পানির সংযোগের বিষয়ে সে আর্থিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলো। কিন্তু জাকিরের নামে কোন হোল্ডিং না থাকায় সে পানির সংযোগের ব্যাপারে আবেদনই করতে পারছিলো না। একারনে সে রুপাতলীর মনি মুক্তা নামক একটি কম্পিউটার কম্পোজের দোকান মালিকের সাথে কথা বললে সে গ্যাস টারবাইন এলাকার জনৈক ইউসুফ হাওলাদারের নামে বিদ্যমান থাকা ৮৮৩ নম্বর হোল্ডিংয়ের বিলের কপি কম্পিউটারে স্ক্যান করে সেখানে মূল মালিকের নাম পরিবর্তন করে একই এলাকার জনৈক মোঃ জাকিরের নাম সংযুক্ত করে। এখানে উল্লেখ্য ইউসুফ হাওলাদার ও জাকিরের পিতার নাম এক অর্থাৎ আঃ আজিজ হওয়ার কারনে মামুনের পক্ষে জালিয়াতির কাজ অনেকটা সহজ হয়। মামুনের স্বীকারোক্তি ও সাথে থাকা কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রতারণার বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় তাকে বিকেলে কোতয়ালী পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।