বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিক নোমানীর অবস্থার অবনতি ! বিভিন্ন মহলের নিন্দা-প্রতিবাদ অব্যাহত

সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিক নোমানীর অবস্থার অবনতি ! বিভিন্ন মহলের নিন্দা-প্রতিবাদ অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল সম্পাদক-প্রকাশক পরিষদ’র তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, দৈনিক শাহনামার প্রধান বার্তা সম্পাদক ও মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানীর অবস্থার অবনতি হয়েছে। মাথায় গুরুতর কোপের আঘাত ও ব্যাপক রক্তক্ষরণের ফলে এই সমস্য হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে শেবাচিম হাসপাতালে তাকে সর্বাত্মক আন্তরিক সেবা প্রদান করে সুস্থ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম নিজেই তার চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খোজখবর রাখছেন। বিভিন্ন সংস্থা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ খোজখবর নিয়েছেন। এদিকে এই বর্বরাোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বরিশাল সম্পাদক-প্রকাশক পরিষদ, বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাব, বরিশাল অনলাইন সাংবাদিক ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন সংগঠন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
শুক্রবার বিকেলে এই বর্বরোচিত হামলায় সাংবাদিক নোমানীর মাথায় প্রায় দশ ইঞ্চি / ছয় ইঞ্চি ক্ষত হয়ে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে। বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন শেষে বর্তমানে সার্জারী ওয়ার্ডে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সাংবাদিক নোমানী। এ হামলায় তার বৃদ্ধা মা পারুল বেগম এবং বোন লিপি আক্তারও গুরুতর আহত হয়েছেন। ৩ জুন শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে ঝালকাঠীর রাজাপুরের চল্লিশকাহানিয়া শাহরুমীর বাজারে এই হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মুনসুর মোল্লার ছেলে দুলাল ও আলম, ফেরদাউস, ফজলে হক, কালু মোল্লা, হোসেন আলী, দেলোয়ার সহ প্রায় ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আগে থেকেই ওৎ পেতে ছিল। সাংবাদিক নোমানী ঘটনাস্থলে গেলেই তার উপরে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে নোমানীর মা ও বোন তাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও কোপায় সন্ত্রাসীরা। তারা তিনজনই এখন মুমূর্ষূ অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি আছে। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাদেও অবস্থা গুরুতর। সিটি স্ক্যান সহ বেশ কিছু টেষ্ট দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে।
জানা গেছে, কালিমা তাইয়েবা খচিত একটি তোরণ ভাঙ্গার উদ্যোগ নেয় এলাকার একটি গ্রুপ। সাংবাদিক নোমানী সহ এলাকার সচেতন মহল এর বিরোধীতা করায় সেই তোরণটি ভাঙ্গতে না পেওে ক্ষিপ্ত হয় তারা। দীর্ঘ পরিকল্পনার মাধ্যমে অবশেষে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।
আহতের স্বজনরা বলেন, তারা নোমানী ও তার মাকে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রাখে। হত্যা করার উদ্যেশেই তারা এভাবে কুপিয়েছে। বর্তমানে তাদেও চিকিৎসা চলছে। এদিকে মামলার প্রস্তুতিও চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech